
একনেকে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্ব ব্যাংকের ৩ হাজার ২৪৪ কোটি টাকার অনুদান পাচ্ছে বাংলাদেশ

এস.ইসলাম জয় : [১] রোহিঙ্গা ইস্যুতে দুইটি প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংকের ৩ হাজার ২৪৪ কোটি টাকা অনুদান পাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রকল্প দুটিতে মোট ১৩টি সংস্থা করবে। হোস্ট এন্ড ফরসিভলি ডিসপ্লেসড মায়ানমার ন্যাশনালস(এফডিএমএন)/ডিসপ্লেসড মায়ানমার পপুলেশন (ডিআরপি) এনহান্সমেন্ট অব লিভস থ্রো এ মাল্টি-সেক্টরাল এপ্রোচ প্রোজেক্ট (এইচইএলপি) ইনফ্রাসট্্রাকচার রিলেটেড প্রোজেক্টে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৮১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন (জিওবি) ২৬১ কোটি ৪২ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ২ হাজার ৩২৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা যা বিশ্বব্যাংক দিবে। এবং প্রকল্প অনুদান হিসেবে বিশ্ব আরও ১ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা দেবে বাংলাদেশকে। বাকি ৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা নিজস্ব অর্থায়ন। প্রকল্পটি ২০২৬ সালের জুনে শেষ হবে।
[২] গতকাল মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার। মোট ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় হবে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা
[৩] অন্য আরেকটি প্রকল্প ইনক্লুসিভ সার্ভিসেস এন্ড অপরচুনিটিস (আইএসও) ফর হোস্ট কমিউনিটিস এন্ড এফডিএমএন পপুলেশন প্রোজেক্টে ব্যয় হবে ৪ হাজার ৪০১ কোটি ১৩ লাখ ৩৬ কোটি টাকা। এ প্রকল্পে সরকারি অর্থায়ন (জিওবি) ৪৯৬ কোটি ৩৭ লাখ ১৬ কোটি, ঋণ ২ হাজার ১৪৫ কোটি ৩৮ লাখ ৩০ কোটি ও অনুদান হিসেবে ১ হাজার ৭৫৯ কোটি ৩৭ লাখ ৯০ কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক।
[৪] সচিব বলেন, একনেক সভায় আজ ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১৪ হাজার ৩৩৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৬ হাজার ৫৪১ কোটি ৫২ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ থেকে ৭ হাজার ৮৭৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৮৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
[৫] অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলাধীন কর্ণফুলী নদী এবং সংযুক্ত খালসমূহের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন রোধকল্পে তীর সংরক্ষণ কাজ’ প্রকল্প এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও আনোয়ারা উপজেলায় টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা (১ম পর্যায়) প্রকল্প; খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ‘নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলায় ৪৮ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন চালের আধুনিক স্টিল সাইলো নির্মাণ প্রকল্প।
[৬] স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘রাজশাহী, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’; কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স ফর রিপারপোজিং অব অ্যাগ্রিকালচারাল পাবলিক সাপোর্ট টুওয়ার্ডস ও সাসটেনেবল ফুড সিস্টেম ট্রান্সফরমেশন বাংলাদেশ প্রকল্প’; নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘বিআইডব্লিউটিসি’র জন্য ৩৫টি বাণিজ্যিক ও ৮টি সহায়ক জলযান সংগ্রহ এবং ২টি নতুন স্লিপওয়ে নির্মাণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প’।
[৭] এছাড়া, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘কুমিল্লা-লালমাই-চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর-বেগমগঞ্জ (আর-১৪০) (লক্ষ্মীপুর আন্তঃজেলা বাসস্ট্যান্ড হতে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা) এবং বেগমগঞ্জ-সোনাইমুড়ী-রামগঞ্জ (আর-১৪২) (সোনাইমুড়ী হতে রামগঞ্জ) আঞ্চলিক মহাসড়ক ৪-লেন সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প’; বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ‘কক্সবাজার বিমান বন্দর উন্নয়ন (১ম পর্যায়) প্রকল্প : ১. সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, ২. বিদ্যুৎ বিভাগ ৩. স্থানীয় সরকার বিভাগ ৪. পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ৫. অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ-এর গুচ্ছ প্রকল্প’ ইত্যাদি।
