এস.ইসলাম জয় : [১] মে মাসে দেশের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাড়িয়েছে ৯.৮৮৯ শতাংশ। গত এপ্রিলে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯.৭৪ শতাংশ। এছাড়া মে মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হারও আবার দুই অঙ্কের ঘরেই রয়ে গেছে। মে-তে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ১০.৭৬ শতাংশ। আগের মাস এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০.২২ শতাংশ।
[২] গতকাল সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির এ হালনাগাদ তথ্য জানিয়েছে।
[৩] চার মাস পর চলতি বছরের এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার দুই অঙ্কের ঘরে ওঠে। পরের মাসে এ হার আরও বাড়ল। চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.৮১ শতাংশ।
[৪] গত বছরের ডিসেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯.৫৮ শতাংশ। আর নভেম্বরে ছিল ১০.৭৬ শতাংশ। অর্থাৎ নভেম্বরের পর চলতি বছরের এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতির [৫] হার আবারও ১০ শতাংশ ছাড়ানোর পর মে মাসেও ১০ শতাংশের ওপরেই থাকল।
[৫] এদিকে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বাড়লেও মে মাসে খাদ্য-বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯.১৯ শতাংশ হয়েছে। আগের মাস এপ্রিলে খাদ্য-বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.৩৪ শতাংশ।
[৬] অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ মনে করেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে বেড়ে যাওয়া সুদ হার কাজে আসছে না। পৃথিবীর অনেক দেশে এটা কাজে এলেও বাংলাদেশের জন্য কাজ হচ্ছে না। এখানে বাজার নিয়ন্ত্রণ হয় দুষ্টচক্র দ্বারা। তাদেরকে সবার আগে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
[৭] এ বিষয়ে সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল বলেন, নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার পরও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ মূল্যস্ফীতি কমিয়েছে, কিন্তু আমরা পারছি না। উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে মূল্যস্ফীতি হয়েছে। কারণ, এ দেশের উৎপাদন খাতের প্রাথমিক ও কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। সেখানে খরচ বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি কমতে আরও এক বছর লাগবে।
[৮] সাবেক সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূইয়া বলেন, প্রায় দুবছর ধরে মূল্যস্ফীতি ৯-১০ শতাংশে বিরাজ করছে। বিআইডিএসের এক সাস্প্রতিক জরিপে বলা হয়েছে। দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি প্রায় ১৫ শতাংশ, গ্রাম ও শহর সব জায়গাতেই মূল্যস্ফীতির চাপে মানুষ হিমসিম খাচ্ছে। কারণ মূল্যস্ফীতির বিপরীতে আয় ও মজুরি তেমন বাড়েনি। মূল্যস্ফীতির কারণে দরিদ্র ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের জীবনযাত্রায় পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থায় কাটছাঁট করতে হচ্ছে।