অর্থনীতি ডেস্ক : [১] প্রস্তাবিত বাজেটে পাঁচটি সুবিধাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বস্ত্র খাতের তিন সংগঠন—বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। [২] গতকাল শনিবার রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কার্যালয়ে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে বস্ত্র খাতের এই তিন সংঘঠন। [৩] লিখিত বক্তব্যে বিজিএমইএ-এর সভাপতি এস এম মান্নান কচি জানান, ভ্যাট আপিলের ক্ষেত্রে দাবিকৃত অর্থের ২০ শতাংশ জমা দিতে হতো, সেটা কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। ১৭টি বিভিন্ন টেক্সটাইল পণ্য রেয়াতি হারে আমদানির সুবিধা দেওয়া হয়েছে, যা চলতি বাজেটে ছিল না। [৪] শিল্পকারখানায় ৫০ টন বা অধিক ক্ষমতার চিলার আমদানির ক্ষেত্রে সর্বমোট কর ১০৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। পূর্বে এটি এক শতাংশ রেয়াতি হারে আমদানির বিধান ছিল। বস্ত্র খাতের উদ্যোক্তারা পুনরায় এটি এক শতাংশ রেয়াতি হারে আমদানির অনুমোদন দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। [৫] নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎসাহিত করতে ১০০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তা বস্ত্র খাতে সুবিধা এনে দেবে। এছাড়া পলিয়েস্টার ফাইবার ও পেট চিপস উৎপাদনে ব্যবহৃত দুটি কাঁচামাল আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ ও ২৫ শতাংশ ছিল। প্রস্তাবিত বাজেটে কমিয়ে ১ শতাংশ করা হয়েছে। [৬] সংবাদ সম্মেলনে বস্ত্র খাতের নেতারা বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতিকে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে, বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে আসায় আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
[৭] বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের অন্যতম প্রধান এই খাতটির জন্য কিছু নীতি সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও বর্তমান কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আমাদের আরও কিছু প্রস্তাব ছিল, যেগুলো মানা হয়নি। এগুলো মানা হলে অর্থনৈতিক কঠিন সময়ে তৈরি পোশাকসহ বস্ত্র খাত উপকৃত হতো।
[৮] সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিকেএমইএ-এর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিজিএমইএ-এর সহ-সভাপতি ও পরিচালক এবং বিটিএমএ’র নেতারা। সূত্র: বাংলানিউজ