সেপ্টেম্বরে খুলছে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু
অর্থনীতি ডেস্ক : [১] চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হবে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু। ত্রিপুরার রাজ্য সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী কিরণ গিটে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
[২] ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় আয়োজিত সেই সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, মৈত্রী সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ; স্থল বন্দররের (নির্মাণ) কাজও শেষের পথে। আমরা আশা করছি, আগস্টের মধ্যে বন্দরের কাজ সম্পূর্ণ হবে। তারপর সেপ্টেম্বর থেকে এই সেতু জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
[৩] ফেনী নদীর ওপর নির্মিত ১ দশমিক ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুটি বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার সঙ্গে ত্রিপুরার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সাব্রুমকে যুক্ত করেছে। ২০১৫ সালে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতুর নির্মাণের ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই বছর জুন মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
[৪] ফেনী নদীর ওপর নির্মানাধীন এই সেতুটি চালু হলে বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত হবে ত্রিপুরার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সাব্রুম।
[৫] বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের অন্যতম নিদর্শন এই সেতুটি সিঙ্গেল স্প্যানের ওপর কংক্রিটের একটি স্থাপনা। গাড়ি ও কার্গো পরিবহনের সহজ ও ঝুঁকিমুক্তভাবে চলাচলের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই নকশা করা হয়েছে সেতুটির।
[৬] ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবহন ও হাইওয়ে মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন লিমিটেডের (এনএইচআইডিসিএল) সার্বিক তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু। এটি পুরোপুরি চালু হলে চট্টগ্রাম বিভাগের সঙ্গে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সরাসরি সেতু সংযোগ স্থাপিত হবে এবং চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর থেকে পশ্চিমবঙ্গ এবং ত্রিপুরায় সরাসরি পণ্য পরিবহন সম্ভব হবে।
[৭] কলকাতা ও চট্টগ্রামের মধ্যে দূরত্বও অনেকখানি হ্রাস করবে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু। বর্তমানে কেবল সাগরপথে সংযোগ রয়েছে কলকাতার সঙ্গে চট্টগ্রামের। সেই পথ আবার গিয়েছে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিতওয়ের ভেতর দিয়ে। সূত্র : ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস ইন্ডিয়া