রাজশাহী প্রতিনিধি: [১] নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব শফিউল আজিম বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে যেন আর কখনও আস্থার ঘাটতি না হয়, সে জন্য ‘কপোত’ অ্যাপস তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নির্বাচনে আরও স্মার্ট সেবা দেওয়া হবে।
[২] গতকাল শনিবার সকালে রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
[৩] রাজশাহীতে আজ নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট (আরএমএস) সফটওয়্যার এবং ‘কপোত’ অ্যাপসের ব্যবহার সহজিকরণ সংক্রান্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
[৪] এদিন সকাল ১০টায় রাজশাহী আঞ্চলিক লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অডিটোরিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মশালার উদ্বোধন করেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব শফিউল আজিম। এ সময় তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর।
[৫] নির্বাচন নিয়ে যেন কখনও আস্থার ঘাটতি না হয় সে জন্য কপোত’ অ্যাপসটি তৈরি করা হয়েছে। এই অত্যাধুনিক স্মার্ট অ্যাপসটির ব্যবহার কীভাবে আরও সহজ করা যায় সে লক্ষ্যেই নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে রাজশাহীতে প্রথমবারের মতো এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
[৬] আগামীতে সব বিভাগে এমন কর্মশালার আয়োজন করা হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মধ্যে দিয়ে ভবিষ্যতে আরও স্মার্টভাবে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
[৭] কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) তরফদার আক্তার জামীল, রাজশাহীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ ও রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।
[৮] এই কর্মশালার উদ্বোধনীতে সভাপতিত্ব করেন, নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান তালুকদার। এছাড়া কর্মশালায় রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্বপালনকারীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ৭০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
[৯] দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর কাস্টিং ভোটের সংখ্যা জানাতে প্রত্যেক প্রিজাইডিং অফিসারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ জন্য সব প্রিজাইডিং অফিসারের জন্য কপোত’ নামে একটি অ্যাপস চালু করা হয়। এই অ্যাপে কেন্দ্রের নাম ও ভোটার সংখ্যা উল্লেখ থাকবে। প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর গৃহীত ভোটের সংখ্যা এতে আপলোড করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
[১০] এছাড়া, রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার (আরএমএস) নামে আরেকটি সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে তারও আগে। এই অ্যাপসটি দিয়ে দ্রুততম সময়ে ফলাফল প্রেরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু অনেক প্রিজাইডিং অফিসার তাদের ভোটের তথ্য সময়মতো আপলোড করতে পারেননি।
[১১] পরে তারা এসএমএস ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ভোটের সংখ্যা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠিয়েছেন। তবে এক সঙ্গে অনেক হিট হওয়ার কারণে অ্যাপসটি ধীরগতিতে চলেছে। আর ধীরগতি হওয়ায় এমনটি হয়েছে বলেই ধারণা করা হয়। সূত্র: বাংলানিউজ