রাজশাহী প্রতিনিধি : [১] খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ট্রানজিট এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের যোগাযোগ বাড়ায়। বিশ্বায়নের যুগে একা থাকলে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে না। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনা কাজ করেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা গোলামি চুক্তি করেননি। বিএনপি মিথ্যা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।
[২] গতকাল সোমবার পোরশা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। [৩] খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ক্ষুধা নিরুদ্দেশ হবে। এই ক্ষুধাকে জয় করতে কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। ধান রোপন ও ধান কাটায় প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে। [৪] তিনি বলেন, আমাদের দেশে ধান কাটার সময় শ্রমিক সংকট হয়। হাজার বারোশো টাকা দিলেও শ্রমিক মিলে না। মেশিনের মাধ্যমে সহজেই অল্প সময়ে অধিক জমির ফসল তোলা সম্ভব। কৃষক ধীরে ধীরে প্রযুক্তিগত সুবিধা নিতে শুরু করেছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকের কাছে প্রযুক্তি পৌঁছে দিচ্ছে কোনটা বিনামূল্যে, কোনটা ভর্তুকি মূল্যে।
[৫] তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দেশের কোথাও যেন এক ইঞ্চি জমিও পতিত না থাকে। সে কারণে চাষাবাদ বাড়াতে হবে। ঘরের পাশের জমিতেও মরিচ-পেঁয়াজের চাষ করলে পরিবারের খরচ কমবে। দেশের সামগ্রিক উৎপাদনে এটার গুরুত্ব আছে।
[৬] শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা উপবৃত্তি দিয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ছেলে মেয়েদের পড়ালেখায় উৎসাহিত করছেন। তিনি পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে একই প্লাটফর্মে নিয়ে আসতে চান। উন্নয়ন করতে চান সকলের। উন্নয়ন থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হয় সেটা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। [৭] বর্তমান সরকার কৃষকবান্ধব উল্লেখ করে সাধন মজুমদার বলেন, চলমান বোরো সংগ্রহে সরকার চালের দাম এক টাকা বাড়িয়েছে কিন্তু ধানের দাম দুই টাকা বাড়িয়েছে। ভোক্তা ও কৃষকের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়েই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে বলে উল্লেখ করেন তিনি। [৮] পোরশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ আদনানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান খোকন, উপজেলা কৃষি অফিসার মামুনুর রশিদ এবং উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।