নিজস্ব প্রতিবেদক : [১] নতুন কোচ পেয়েছে চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করা মহানগর এক্সপ্রেস (৭২১/৭২২) ট্রেন। ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা আধুনিক ব্রেক সিস্টেমের নতুন কোচগুলো নিয়ে গতকাল ১১ জুলাই থেকে ট্রেনটি চলাচল করছে। এ ছাড়া এই ট্রেনের আগের রেক দিয়ে ২৭ জুলাই থেকে চলাচল করবে চট্টলা এক্সপ্রেস (৮০১/৮০২) ট্রেন। বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্বাঞ্চল) সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (এসিওপিএস) কামাল আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি জানা যায়। [২] চিঠিতে বলা হয়, যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৭০৩/৭৪১ নম্বর ট্রেনের অবমুক্ত রেক (ইন্দোনেশিয়ান) ৭২১/৭২২ নম্বর ট্রেনে প্রতিস্থাপন করে এবং ৭২১/৭২২ নম্বর ট্রেনের কোচ (চায়না) দিয়ে ৮০১/৮০২ নম্বর ট্রেনের রেক পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
[৩] আরও বলা হয়েছে, মহানগর এক্সপ্রেস (৭২১/৭২২) ট্রেনের রেক ইন্দোনেশিয়ান কোচ দিয়ে (একই কম্পোজিশনে) ১১ জুলাই থেকে পরিচালিত হবে এবং আগামী ২৭ জুলাই চট্টলা এক্সপ্রেস (৮০১/৮০২) ট্রেন চায়না কোচ দিয়ে পরিচালিত হবে। নতুন চায়না রেকে চট্টলা এক্সপ্রেসের মোট আসন সংখ্যা থাকবে ৭৬৭টি।
[৪] এদিকে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা আধুনিক ব্রেক সিস্টেমের ৩৪টি কোচ ওয়ার্কশপে এক মাসেরও বেশি সময় ফেলে রাখা হয়েছিল। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্যিক ও পরিবহন বিভাগ থেকে জানা গেছে, ইন্দোনেশিয়ান আধুনিক ব্রেক পদ্ধতির পিটি ইনকা কোম্পানি নির্মিত কোচগুলো কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনে সংযোজন করা হলে যাত্রী চাহিদার পাশাপাশি রাজস্ব আয় আরও বাড়বে। মূলত বর্তমান স্পেশাল ট্রেনের পিএইচটি টাইপ রেকে শোভন চেয়ার, প্রথম শ্রেণির চেয়ার ও শোভন শ্রেণির কোচ থাকায় যাত্রী পরিবহন বেশি হলেও আয়ের পরিমাণ কম। ইন্দোনেশিয়ান কোচের রেকটি সংযোজন করা হলে শোভন চেয়ারের পাশাপাশি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচ, স্লিপার কোচ সংযোজন হলে স্বল্প দূরত্বের রুটটিতে প্রায় দ্বিগুণ আয় করা সম্ভব।
[৫] এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেন, রেলওয়ে সবসময় চায় যাত্রীসেবার মানকে ধারাবাহিকভাবে বাড়াতে। নতুন নতুন কোচ আসার পর পুরনো ট্রেনগুলোকেও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। চট্টলা, মহানগর এক্সপ্রেস ও মেইল ট্রেনগুলোয় নতুন কোচ যুক্ত করার মাধ্যমে যাত্রীসেবার মান বাড়ানোর পাশাপাশি রেলের রাজস্ব আয়েও বড় পরিবর্তন আসবে বলে মনে করি।