কক্সবাজার প্রতিনিধি : [১] কোটা সংস্কার আন্দোলনে কক্সবাজার বেড়াতে এসে আটকে পড়া পর্যটকদের বিশেষ পাস দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছেন জেলা প্রশাসন। কক্সবাজার থেকে ঢাকা দীর্ঘ যাত্রাপথে তাদের নিরাপত্তা দিয়েছেন সেনাবাহিনী।
[২] গত মঙ্গলবার সকালে ৮০টি বাস ও ব্যক্তিগত যানবাহনে করে প্রায় ৩ হাজার পর্যটক নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়।
[৩] কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আতাউল গনি ওসমানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আরও কিছু পর্যটক কক্সবাজার অবস্থান করছেন। গাড়ির সংস্থান হলে তাদেরও গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[৪] সংশ্লিষ্টরা জানান, গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় শহরের কলাতলী মোড় থেকে বাসগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় ঢাকা আরামবাগ পৌঁছে দেওয়া হয়। এর আগে গত রোববার ও সোমবার দুইদিনে ৫ হাজার পর্যটক বিশেষ পাস নিয়েছেন। এছাড়া গত তিনদিনে অন্তত ৩ হাজার পর্যটক কক্সবাজার ত্যাগ করেছেন।
[৫] গত বুধবার থেকে সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে এসে অন্তত ১০ হাজার পর্যটক আটকা পড়েন। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পর্যটকরা ব্যাংকিং সেবা নিতে না পেরে আর্থিক সংকটে পড়েন।
[৬] সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বাসগুলোর সামনে পেছনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারা ছিলো। যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সহজেই মোকাবেলা করা যায়। বাকি পর্যটকদেরকেও নিজ নিজ গন্তব্যে ফেরাতে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। [৭] জানা যায়, আটকা পড়া পর্যটকরা জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করার পর তা যাচাই-বাছাই করে বিশেষ পাসের সঙ্গে বাসের টিকিটও দেওয়া হচ্ছে। [৮] গত সোমবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পর্যটকদের এ সেবা দেওয়ার জন্যে বুথ খোলা হয়েছে। এদিকে হোটেল-মোটেলগুলোতে বিশেষ ছাড় দেওয়ার কথা থাকলেও নাম মাত্র ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পর্যটকরা
[৯] কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার জানান, সব হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস ও রিসোর্ট মালিকদের কক্ষ ভাড়ায় ছাড় দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এটা মানবিক বিবেচনায় করা হচ্ছে।
[১০] রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন পর্যটকদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি তদারকি করতে আসেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পর্যটকরা কক্সবাজার এসে থাকা-খাওয়াসহ নানাভাবে কষ্টে ছিলেন। এ বিষয়টি অনুধাবন করে পর্যটকদের নিজ গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা এবং কক্সবাজারের মানুষের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।