নিজস্ব প্রতিবেদক : [১] মেট্রোরেলের ক্ষতি নিরূপণে আট সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। [২] এতে মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের শিকার হয়। [৩] মেট্রোরেলের ক্ষতি নিরূপণে অতিরিক্ত সচিব মো. জাকারিয়াকে প্রধান করে আট সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল)-এর কোম্পানি সচিব তরফদার মাহমুদুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। [৪] তিনি আরও জানিয়েছেন, আর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হবে মেট্রোরেলে অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুরকারীদের। এ ঘটনায় কঠিন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে প্রশাসন। [৫] ওই কমিটির এক সদস্য জানিয়েছেন, এ দুই মেট্রোস্টেশন পুনর্র্নিমাণে প্রায় ৬ মাস থেকে এক বছর লেগে যাবে। সব যন্ত্রপাতি বসানোর পাশাপাশি কারিগরি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। মিরপুর-১০ স্টেশনের পুরো ই-সিস্টেম ধ্বংস হয়ে গেছে। এ সিস্টেম পুনরায় চালু করতে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা লাগতে পারে। [৬] তিনি জানান, কাজীপাড়া স্টেশনের ৫০ শতাংশের বেশি ই-সিস্টেম নষ্ট হয়ে গেছে। এ সিস্টেম পুনরায় স্থাপন করতে প্রায় ১০০ কোটি টাকা লাগবে। আর কম্পিউটার, ডিভাইস, পাঞ্চ মেশিন, ভেন্ডিং মেশিনমহ আরও যে সব যন্ত্রাংশের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা ঠিক করতে প্রায় দুইশো কোটি টাকা লেগে যেতে পারে। সবমিলিয়ে মেট্রোরেলের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৫০০ কোটি টাকার বেশি। [৭] ডিএমটিসিএলের কোম্পানি সচিব আব্দুর রউফ বলেন, এ দুই স্টেশনে শুধু ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নয়। আরও ক্ষতি হয়েছে। যাত্রী পরিবহনে যে আয় হতো, তা কমছে। মিরপুর-১০ স্টেশন সবচেয়ে যাত্রীবহুল স্টেশন। [৮] মেট্রোরেলের কমলাপুর স্টেশন বর্ধিতকরণসহ পুরো প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ২০২৫ সালের জুন মাসে। তাহলে এ প্রকল্পের সময়সীমা বাড়ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুরো প্রকল্পের মেয়াদ যেন না বাড়ে, সে লক্ষ্যেই কাজ করছি। আশা করছি আগামী বছরের জুনের মধ্যে পুরো প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে সম্পন্ন করা হবে।