
অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা কমেছে

মাসুদ মিয়া : [১] কারফিউ শিথিল হওয়ায় রাজধানীতে বেড়েছে সবজি সরবরাহ। যার প্রভাবে ঢাকার বিভিন্ন বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে। [২] শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায় এসব বাজারে সবজিসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের সরবরাহ বেড়েছে।
[৩] এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঢাকার বাজারগুলোয় কাঁচা পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। এতে আগামী কয়েকদিনে আরও কমবে দর।
[৩] বাজারে গাজর, বেগুন, টমেটো ও করলা ছাড়া এখন বেশিরভাগ সবজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে কিনতে পারছেন ক্রেতারা। গত সপ্তাহে প্রায় প্রত্যেকটি সবজির দাম ছিল ৭০ টাকার উপরে।
[৪] বাজারে দাম কমে প্রতিকেজি পটল ৪০ টাকায়, প্রতিকেজি চিচিঙ্গা ও ঢেঁড়শ ৫০ টাকায়, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা প্রতিকেজি পেঁপে ৫০ টাকায়, চাল কুমড়া প্রতিপিস ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া প্রতিকেজি ৪০ টাকায়, শসা প্রতিকেজি ৮০ টাকায়, কচুমুখী প্রতিকেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, লাউ প্রতিপিস সাইজভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি করলা প্রায় ৫০-৭০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়।
[৫] গত সপ্তাহে তুলনায় প্রতিকেজি কাঁচামরিচ দাম কমেছে অর্ধেক। বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ মিলছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায়।
[৬] রাজধানীর মতিঝিলের এ জি বি কলোনী বাজারের সবজি বিক্রেতা কালাম মিয়া বলেন, পর্যাপ্ত সবজির সরবরাহ রয়েছে। প্রায় সবধরনের সবজির দাম কমেছে। টমেটো আর গাজর আমদানি করে আনতে হচ্ছে। তাই এই সবজিগুলোর দাম বেশি।
[৭] তবে আগের মতো চড়া দামেই ক্রেতাদের পেঁয়াজ ও আলু কিনতে হচ্ছে। [৮]প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। এছাড়া দেশি রসুন প্রতিকেজি ২২০ টাকায়, আমদানিকৃত রসুন প্রতিকেজি ২০০ টাকায়, ছোট দানার মসুর ডাল প্রতিকেজি ১৪০ টাকায় এবং বড় দানার মসুর ডাল প্রতিকেজি ১১০ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। [৯] রামপুরা বাজারে এক ক্রেতা বলেন , আন্দোলনের পর সবজির বাজারে উত্তাপ কিছুটা কমেছে। তবে এখনও আলু, পেয়াজ, মাংস ও মশলার দাম চড়া।
[১০ ] এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে সরবরাহ বাড়ায় কমেছে মুরগির দাম। প্রতিকেজি ২০ টাকা পর্যন্ত কমে ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় এবং সোনালী মুরগি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আগের মতোই প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০-৭৮০ টাকায় আর প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১১৫০ টাকায়। প্রতি ডজন ফার্মের ডিম ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
[১১] সপ্তাহ ব্যবধানে মাছের দামও কিছুটা কমেছে। বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রাম আকারের ইলিশ মাছের কেজি এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা এবং ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
[১২] চাষের শিং (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকায়। প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা হয়েছে। দেশি মাগুরের কেজি ৯০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, চাষের পাঙাস ১৯০ থেকে ২২০ টাকা ও চিংড়ির কেজি ৮০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা।
বোয়ালের কেজি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, মলা ৬০০ টাকা, বাতাসি টেংরা এক হাজার ৪০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা এক হাজার ২০০ টাকা, বাইম এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা, দেশি কই এক হাজার ২০০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে মাছ ৮০০ টাকা এবং কাইক্কা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
