এস.ইসলাম জয় : [১] চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি বার্ন ইউনিট স্থাপনে ১১৮ মিলিয়ন অনুদান দেবে চীন সরকার, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় ১৭৯ কোটি ৮৩ লাখ ২০ হাজার টাকা (১ ইয়ান ১৫.২৪ টাকা হিসেবে)।
[২] হাসপাতালের ১ হাজার ৬৫ জন জনবলের মধ্যে ৪০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পোড়া রোগীদের জন্য হাসপাতালটিতে ১৫০টি শয্যা থাকবে।
[৩] চায়না এইড প্রোজেক্ট অব বার্ন অব চিটাগাং মেডিকেল কলেজ হসপিটাল ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম ও সংলগ্ন জেলাগুলোতে প্রায় ৪০ মিলিয়ন জনসাধারণের পোড়া এবং বিকৃত রোগীদের সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্পন্ন বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারির চিকিৎসা সুবিধা দেওয়া হবে।
[৪] প্রকল্পটিতে মোট ব্যয় হবে ২৮৪ কোটি ৭৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা। এর মধ্যে জিওবি ১০৪ কোটি ৯৩ লাখ ৩২ হাজার টাকা এবং বাকী চীনা অর্থায়ন। গত ২৮ মে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। ২ বছর মেয়াদী প্রকল্পটি ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
[৫] ২০১৬ সালে চীনা বিশেষজ্ঞ টীম প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করে। চীনা ওই টীমটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি বার্ন ইউনিট স্থাপনের প্রয়োজনীতা, চাগিদা ও ঝুঁকি বিশ্লেষণ, আর্থ-সামাজিক ও পরিবেশগত প্রভাব, আয়-ব্যয় বিশ্লেষণ, কারিগরি, প্রযুক্তিগত ও প্রশাসনিক সক্ষমতাসহ অণ্যান্য বিশ্লেষণের প্রেক্ষিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ইতিবাচক সুপারিশ করে।
[৬] ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে এসিডে আক্রান্ত বা গরম পানিতে পোড়া রোগীর সেবা দিয়ে হিমশিম খেতে হয়। তাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজকে বাছাই করা হয়। এখানে বার্ন ইউনিটটি চালু করা হলে পোড়ারোগীর মৃত্যুহার কমানো যাবে।
[৭] প্রকল্পটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিজস্ব জমিতে বাস্তবায়নের জন্য নির্ধারিত বিধায় ভূমি অধিগ্রহনে পরিকল্পনা কমিশনের মতামত বাস্তবায়নের মাধ্যমে অর্থায়ন আহরণপূর্বক প্রকল্পটির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
[৮] প্রকল্পটির বিষয় পরিকল্পনা কমিশনের মতামত হচ্ছে- (ক) আলোচ্য প্রকল্পে চীন সরকারের ৬৩.১৫ শতাংশ অর্থায়ন (প্রকল্প অনুদান) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে ঋণচুক্তি এতে সরকারের সবার জন্য স্বাস্থ্য কর্মসূচি সার্থকতা লাভ করবে। (খ) প্রকল্পের মাধ্যমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট স্থাপিত হলে পোড়ারোগে চিকিৎসা ও পুনর্গঠনমূলক সার্জারির চিকিৎসা সুবিধা প্রাপ্তি সহজলভ্য হবে এবং জনগণের স্বাস্থ্যসেবার পথ প্রশস্ত হবে।