সোহেল রহমান : [১] রাজস্ব হিসাব, লাভ-ক্ষতির হিসাব ও স্থিতিপত্র প্রণয়ন ও সংরক্ষণে বিমাকারী প্রতিষ্ঠানকে ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল কর্তৃক সর্বশেষ গৃহীত এবং বীমাকারীর জন্য প্রযোজ্য ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডস অনুসরণ করতে হবে। রাজস্ব হিসাব ও স্থিতিপত্র তৈরির ক্ষেত্রে ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডস সংশ্লিষ্ট ছক ব্যবহার করতে হবে। [২] বিমাকারীর রাজস্ব হিসাব, লাভ-ক্ষতির হিসাব ও স্থিতিপত্র প্রবিধানমালা ২০২৪-এর খসড়ায় এমন বিধান যুক্ত করা হয়েছে। [৩] অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা যায়, খসড়ায় বলা হয়েছে, এক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক প্রণীত ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন ২০১৫-এর ৪০ ধারা অনুসরণ করতে হবে।
[৪] ইসলামী বিমা ব্যবসার বিষয়ে খসড়ায় বলা হয়েছে, ইসলামী বিমা ব্যবসার হিসাব প্রণয়নে বিমাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিমা আইন ২০১০-এর ধারা ৭-এর আওতাধীন একই সঙ্গে প্রচলিত বিমা ব্যবসা এবং ইসলামী বিমা ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমতি প্রাপ্ত হলে প্রবিধি ৩ ও ৪ পরিপালন-পূর্বক ইসলামী বিমা ব্যবসার হিসাব এবং প্রচলিত বিমা ব্যবসার হিসাব রাজস্ব হিসাব, লাভ-ক্ষতির হিসাব ও স্থিতিপত্রে পৃথকভাবে উপস্থাপন করতে হবে।
[৫] শেয়ার গ্রহীতা ও পলিসি গ্রাহকদের তহবিল সংরক্ষণের বিষয়ে খসড়ায় বলা হয়েছে, ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন ২০১৫-এর ৪০ ধারার আওতায় ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল কর্তৃক সর্বশেষ গৃহীত এবং বিমাকারীর জন্য প্রযোজ্য ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডসসমূহ অনুসরণ-পূর্বক বিমাকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক শেয়ার গ্রহীতা ও পলিসি হোল্ডারদের তহবিল পৃথকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।