আনিসুর রহমান তপন: [২] রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ডেমোক্রেটিক প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিস সম্পর্কে এ মন্তব্য করেন। ফ্লোরিডার পাম বিচ মার-এ-লাগোতে সফররত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সাথে বৈঠকের সময় কীভাবে ইহুদিরা কমলা হ্যারিসকে ভোট দিতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ট্রাম্প। জেরুজালেম পোস্ট
[৩] ট্রাম্প বলেন, আমি আসলে জানি না যে একজন ইহুদি ব্যক্তি কীভাবে তাকে ভোট দিতে পারে, তবে এটি তাদের উপর নির্ভর করে। ট্রাম্প যখন একথা বলেন তখন পাশেই একই টেবিলে নেতানিয়াহু বসেছিলেন। ছিলেন নেতানিয়াহুর স্ত্রী সারা। [৪] তবে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সাথে ভ্রমণকারী ইসরায়েলি সাংবাদিকরা উপস্থিত থাকার সুযোগ পাননি। কিন্তু ডব্লিউপিটিভি নিউজ সহ – বেশ কয়েকজন মার্কিন স্থানীয় সাংবাদিক সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
[৫] নেতানিয়াহু ওয়াশিংটন সফরের সময় হ্যারিস এবং ট্রাম্প উভয়ের সাথেই দেখা করেন, আগামী নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে যে বিজয়ী হবেন তিনি হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করবেন এবং তার সাথে সম্পর্ক স্থাপনে সহায়তা করার জন্য নেতানিয়াহুর এ বৈঠক। [৬] ট্রাম্প বলেন যে হ্যারিস ‘অবশ্যই আমার মতে ইসরায়েলের প্রতি অসম্মানজনক’ যোগ করে যে, হ্যারিস ‘একজন উগ্র বাম ব্যক্তি’ যিনি ‘ধ্বংস করেছেন’। এ পর্যায়ে ট্রাম্প রসিকতা করে বলেন, নেতানিয়াহুর সঙ্গে আমার শাসনামলে সম্পর্ক কখনও খারাপ ছিল না এবং আমাদের সবসময় খুব ভাল সম্পর্ক ছিল। আমার গোপন অস্ত্র ছিল সারা (নেতানিয়াহুর স্ত্রী), কারণ আমি স্নেহের সাথে তার কাঁধে হাত রেখেছিলাম। [৭] ইসরায়েলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ট্রাম্প বলেন যে ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন অন্য কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইহুদি রাষ্ট্রের জন্য এর চেয়ে বেশি কাজ করেননি। এর মধ্যে গোলান মালভূমিতে ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি এবং ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে জেরুজালেমের মর্যাদা অন্তর্ভুক্ত ছিল। তিনি মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তরিত করেন এবং ইরান চুক্তি থেকে বেরিয়ে যান যা ওবামা প্রশাসন ২০১৫ সালে মধ্যস্থতা করেছিল। সম্পাদনা: এম খান