সোহেল রহমান : [১] সাম্প্রতিক সময়ে গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকবে বলে মনে করছে সরকার। অন্যদিকে উন্নত দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি মধ্য মেয়াদে স্থিতিশীল থাকবে, যা বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়াতে সহায়তা করবে।
[২] অর্থ বিভাগ-এর মতে, বিভিন্ন বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও রপ্তানি ও প্রবাস আয়ে প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে, যা মধ্য মেয়াদে চলমান থাকবে।
[৩] অর্থ বিভাগ বলছে, বিশ্বব্যাপী পণ্য মূল্য কমে যাওয়া এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের স্থিতিশীলতার কারণে মধ্য মেয়াদে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। আর মূল্যস্ফীতি কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তি পর্যায়ে ভোগ ব্যয় বাড়বে। এর ফলশ্রুতিতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে।
[৪] অন্যদিকে মূল্যস্ফীতি ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল হলে আমদানি প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক ধারায় ফিরে আসবে।
[৫] প্রসঙ্গত: সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই ২০২৩-মে ২০২৪) আমদানির পরিমাণ এর আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। ফলে লেনদেন ভারসাম্যের (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট) ওপর চাপ কিছুটা কমেছে। একই সঙ্গে আমদানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে যাওয়ায় এর আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে প্রায় ৬০০ কোটি ডলার। [৬] সংশ্লিষ্টদের মতে, আমদানি কমে যাওয়ার একটি বড় কারণ হচ্ছে ডলার সংকট। [৭] অর্থ বিভাগ-এর মতে, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে নীতি সুদের হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। তবে মধ্য মেয়াদে এটি কমে আসতে পারে। ফলে এটি বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে সহায়তা করবে।
[৮] অন্যান্যের মধ্যে অর্থ বিভাগ বলছে, চলতি অর্থবছরে কৃষি ও শিল্প উৎপাদন শক্তিশালী অবস্থানে থাকবে এবং অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।
[৯] আর রাজস্ব আদায় বাড়ানো প্রসঙ্গে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন সংস্কার উদ্যোগের কারণে কর রাজস্ব খাতে প্রবৃদ্ধি বাড়বে এবং এর ফলে সার্বিক রাজস্ব আদায়ে গতি সঞ্চার হবে।