গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : [১] গোপালগঞ্জে রোপা আমনের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ২ হাজার ৪০০ কৃষকের মধ্যে প্রণোদনার বীজ এবং সার বিতরণ করা হয়েছে। রোপা আমান মৌসুমে কৃষক প্রতি ৫ কেজি করে রোপা আমন ধানের উফশী জাতের বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার ৫ উপজেলার প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকের হাতে তুলে দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
[২] এসব বীজ ও সার দিয়ে জেলার ২ হাজার ৪০০ কৃষক ২ হাজার ৪০০ বিঘা জমি চাষাবাদ করে রোপা আমনের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি করবেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক আ. কাদের সরদার এসব তথ্য জানিয়েছেন।
[৩] উপ-পরিচালক বলেন, প্রণোদনা কর্মসূিচর আওতায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ৫৫০ জন কৃষকরে মধ্যে ২ হাজার ৭৫০ কেজি ধানের বীজ, ৫ হাজার ৫০০ কেজি ডিএপি সার এবং ৫ হাজার ৫০০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে। মুকসুদপুর উপজেলায় ৪৮০ জন কৃষকের মধ্যে ২ হাজার ৪০০ কেজি ধান বীজ, ৪ হাজার ৮০০ কেজি ডিএপি সার ও ৪ হাজার ৮০০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়েছে। কাশিয়ানী উপজেলায় ৪৭০ জন কৃষকের মাঝে ২ হাজার ৩৫০ কেজি ধানের বীজ, ৪ হাজার ৭০০ কেজি ডিএপি সার ও ৪ হাজার ৭০০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে। [৪] এদিকে কোটালীপাড়া উপজেলায় ৫০০ জন কৃষকের মধ্যে ২ হাজার ৫০০ কেজি ধান বীজ, ৫হাজার কেজি ডিএপি সার ও ৫হাজার কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে। টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৪০০ জন কৃষক পেয়েছেন ২ হাজার কেজি ধান বীজ, ৪ হাজার কেজি ডিএপি সার ও ৪ হাজার কেজি এমওপি সার।
[৫] কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, প্রণোদনার বীজ-সার দিয়ে জেলার ২ হাজার ৪০০ কৃষক ২ হাজার ৪০০ বিঘা জমিতে রোপা আমান ধানের আবাদ করবেন। এতে জেলায় আমন ধানের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
[৬] কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, ইতিমধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ৫৫০ জন কৃষকের মাঝে প্রণোদনার বীজসহ সার বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। এসব বীজ পেয়ে কৃষক বীজতলা তৈরী করেছে। কয়েক দিনের মধ্যে এ সদর উপজেলায় আমন আবাদের ধুম পরবে।