বাড়াতে ব্যয় হবে ৫১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ডিজিটাল সরকার ও অর্থনীতি শক্তিশালীকরণ প্রকল্প ক্লাউড কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্মের সক্ষমতা
সোহেল রহমান : [১] দেশের ডিজিটাল সক্ষমতা বাড়ানো ও শক্তিশালী অর্থনীতি গড়ে তুলতে ডিজিটাল সরকার ও অর্থনীতি শক্তিশালীকরণ (ইডিজিই) শীর্ষক প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫৪১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংকের ঋণের পরিমাণ ২ হাজার ৫০৭ কোটি ৬ লাখ টাকা এবং অবশিষ্ট ৩৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয় করছে বাংলাদেশ সরকার।
[২] ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২০২২ সালের জানুয়ারি-তে শুরু হওয়া পাঁচ বছর মেয়াদী প্রকল্পটি ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। [৩] সূত্র জানায়, ডিজিটাল সরকার ও অর্থনীতি শক্তিশালীকরণ (ইডিজিই) প্রকল্পের একটি প্যাকেজ কাজ সম্পাদনে ঠিকাদার নিয়োগের একটি প্রস্তাব আগামীতে অনুষ্ঠেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি-তে উপস্থাপন করা হবে। প্যাকেজটির শিরোনাম হচ্ছেÑ সাপ্লাই, ইন্সটলেশন অ্যান্ড কমিশনিং ফর এক্সপানশন অব দ্য ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম ইন দ্য ন্যাশনাল ডেটা সেন্টার এট বিসিসি (প্যাকেজ নং- ইডিজিই-জিআইএ)। প্রথম দফায় দুটি লটে বিভক্ত প্যাকেজ কাজটির লট-১-এর জন্য ঠিকাদার নিয়োগের প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে। প্যাকেজের লট-১-এর শিরোনাম হচ্ছেÑ সাপ্লাই, ইন্সটলেশন অ্যান্ড কমিশনিং অব এক্সপানশন অব এক্সিজিসটিং নিউটেনিক্স প্রাইভেট ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম ইন দ্য ন্যাশনাল ডেটা সেন্টার এট বিসিসি।
[৪] সূত্র জানায়, আলোচ্য প্যাকেজ কাজটির আওতায় জাতীয় ডেটা সেন্টার (এনডিসি)-এ বিদ্যমান ক্লাউড কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্মের সক্ষমতা বাড়াতে ক্লাউড প্ল্যাটফর্মে ক্লাউড নেটিভ এবং আধুনিকিকৃত অ্যাপ্লিকেশন যুক্ত করা হবে, যা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/দপ্তর/সংস্থার ডেটা সংরক্ষণ ও নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
[৫] সূত্র জানায়, আলোচ্য প্যাকেজের লট-১-এর কাজ সম্পাদনে ঠিকাদার নিয়োগে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান করা হয়েছিল। দুটি দেশিয় প্রতিষ্ঠান এতে অংশ নেয়। এর মধ্যে ঢাকার থাকরাল ইনফরমেশন সিস্টেম প্রাইভেট লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানটি দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি ও কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি কর্তৃক রেসপনসিভ হিসেবে মনোনীত হয়েছে। দরপত্রে অংশ নেয়া অপর প্রতিষ্ঠান স্টেরলিং মাল্টি- টেকনোলজিস লিমিটেড নন-রেসপন্স হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
[৬] সূত্র জানায়, লট-১-এর কাজ বাস্তবায়নে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রস্তাবিত চুক্তিমূল্য হচ্ছে ৪৬ লাখ ৯৮ হাজার ২৮৭ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫১ কোটি ৬৮ লাখ ১১ হাজার টাকা (১ ডলার=১১০ টাকা হিসাবে)। এটি লট-১-এর কাজ বাস্তবায়নে প্রাক্কলিত ব্যয়ের চেয়ে ২ শতাংশ বেশি। প্রাক্কলিত ব্যয় হচ্ছে ৫০ কোটি ৯০ লাখ টাকা। কিন্তু বেশি হলেও এটি প্রাক্কলিত ব্যয়ের প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি প্রস্তাবটি গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করেছে।
[৭] সূত্র জানায়, অন্যদিকে আলোচ্য প্যাকেজের লট-২-এর প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৫১ কোটি ৬৩ হাজার ৮৬ হাজার টাকা।