মো. আখতারুজ্জামান : [১] বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স আসা বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার মূল্য বাড়ানোর নির্দেশনা অনুযায়ী ডলারের দাম ১১৯ টাকা ৪০ পয়সা পর্যন্ত বাড়িয়েছে ব্যাংকগুলো।
[২] চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে রেমিটেন্স প্রবাহে পতন দেখা দেওয়ায় সোমবার রেমিটেন্সের ক্ষেত্রে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার বাড়িয়েছে দেশের বেশ কয়েকটি ব্যাংক।
[৩] রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে রোববার ব্যাংকগুলোকে উচ্চ হারে রেমিটেন্স ডলার কিনতে মৌখিক নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। যার প্রেক্ষিতে সোমবার একদিনের ব্যবধানে রেমিটেন্স ডলারের দর ৬০-৭০ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে গিয়েছে।
[৪] বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের জুলাই মাসের প্রথম ২৮ দিনে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১৬৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার। আর, গত ৩ দিনে রেমিটেন্স এসেছে ১০ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
[৫] সাম্প্রতিক শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকার কারণে রেমিটেন্স প্রবাহে প্রভাব পড়েছে বলে জানান ব্যাংক কর্মকর্তারা।
[৬] হিসাব বলছে, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ১২৪ কোটি ৯৮ লাখ ডলার। এ ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২২ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। আর বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৮ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪২ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
[৭] যদিও গত জুন মাসে প্রবাসীরা ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন। আর চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
[৮] বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুলাইয়ে প্রবাসীরা ১৯৭ কোটি ডলার রেমিটেন্স পাঠান। সেই তুলনায় এ বছর একই সময়ে রেমিটেন্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।
[৯] বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, দেশে চলমান কারফিউয়ের মাঝে গত বুধবার থেকে সীমিত সময়ের জন্য ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু হয়েছে। টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হওয়ায়, মাসের শেষ দিনগুলোতে রেমিটেন্সের পরিমাণ কিছুটা বাড়তে পারে।
[১০] তিনি বলেন, তবে ব্যাংকিং কার্যক্রম স্বাভাবিক হলে মাসের শেষের দিকে রেমিটেন্সের পুরো হিসাব পাওয়া যাবে।