
পৃথক ৩টি লটে কেনা হচ্ছে ৭২ হাজার ৮৯৭টি বৈদ্যুতিক খুঁটি
সোহেল রহমান : [১] খুলনা বিভাগে বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতা বাড়াতে ৭২ হাজার ৮৯৭টি বৈদ্যুতিক খুঁটি (এসপিসি পোল) ক্রয় করবে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ড (বাপবিবো)। পৃথক তিনটি লটে এসব বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্রয়ে মোট ব্যয় হবে ২২৭ কোটি ৯৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এটি প্রাক্কলিত মূল্যের চেয়ে ৩০ কোটি ১৭ লাখ টাকা বেশি। তিনটি লটের মোট দাপ্তরিক প্রাক্কলিত মূল্য হচ্ছে ১৯৭ কোটি ৭৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। বুধবার অনুষ্ঠেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে।
[২] বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বাপবিবো’র আওতায় ৯টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (বাগেরহাট, যশোর-১, যশোর-২, ঝিনাইদহ, খুলনা, কুষ্টিয়া, মাগুরা, মেহেরপুর ও সাতক্ষীরা) এলাকায় পল্লী বিদ্যুতায়ন নেটওয়ার্কের আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন, ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মিটানো, নিরবচ্ছিন্ন ও গুণগত মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ২০২১ সালে চার বছর মেয়াদী একটি প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। বাংলাদেশ সরকার, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাপবিবো’র নিজস্ব অর্থায়নে মোট ৩ হাজার ৭৬ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
[৩] মূল প্রকল্পের অংশ হিসেবে বাপবিবো’র বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন (খুলনা বিভাগ) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এসব বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্রয় করা হবে। এর মধ্যে লট-১-এর আওতায় ২৪ হাজার ৩০০টি (প্রাক্কলিত মূল্য ৬৫ কোটি ৯২ লাখ ৭০ হাজার ২৫৯ টাকা); লট-২-এর আওতায় ২৪ হাজার ৩০০টি (প্রাক্কলিত মূল্য ৬৫ কোটি ৯২ লাখ ৭০ হাজার ২৫৯ টাকা) এবং লট-৩-এর আওতায় ২৪ হাজার ২৯৭টি (প্রাক্কলিত মূল্য ৬৫ কোটি ৯২ লাখ ২২ হাজার ৬৮০ টাকা) বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্রয় করা হবে।
[৪] সূত্র জানায়, প্রকল্পের সার্বিক ক্রয় পরিকল্পনায় এমসিইপি/বিআরইবি কেডি-জি-২৩ প্যাকেজে ২৩৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকার এসপিসি পোল ক্রয়ের সংস্থান রয়েছে। মালামালের প্রাপ্যতা ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বিবেচনায় প্যাকেজটিকে ৩টি লটে ভাগ করে বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রকল্পটির অনুকূলে চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এ বরাদ্দ থেকে এসপিসি পোল ক্রয়ের ব্যয় নির্বাহ করা হবে।
[৫] সূত্র জানায়, বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্রয়ে দরপত্র আহবান করা হলে প্রতিটি লটেই তিনটি করে দরপত্র জমা পড়ে। এর মধ্যে লট-১ এর আওতায় ২৪ হাজার ৩০০টি পোল ক্রয়ে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে মনোনীত হয়েছে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেড (প্রস্তাবিত মূল্য ৭৬ কোটি ৬৮ লাখ ১১ হাজার ৮৭৭ টাকা)।
[৬] অপর দুই দরদাতা প্রতিষ্ঠান হচ্ছেÑ কনফিডেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড (প্রস্তাবিত দর ৭৭ কোটি ৯৫ লাখ ২৩ হাজার ৭৯৭ টাকা) এবং যৌথভাবে দাদা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ও রয়্যাল গ্রীণ প্রোডাক্টস লিমিটেড অ্যান্ড পাশা পোল্স লিমিটেড (প্রস্তাবিত মূল্য ৭৯ কোটি ৯৩ লাখ ২ হাজার ৪১৩ টাকা)।
[৭] সূত্র জানায়, লট-২ এর আওতায় ২৪ হাজার ৩০০টি পোল ক্রয়ে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে মনোনীত হয়েছে যৌথভাবে চরকা এসপিসি পোলস লিমিটেড, দাদা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড, টিএসসিও পাওয়ার লিমিটেড ও পাশা পোল্স লিমিটেড (প্রস্তাবিত মূল্য ৭৬ কোটি ৬৫ লাখ ১ হাজার ৩৭২ টাকা)।
[৮] অপর দুই দরদাতা প্রতিষ্ঠান হচ্ছেÑ যৌথভাবে বিএটি পোলস লিমিটেড ও কনটেক কন্সট্রাকশন লিমিটেড (প্রস্তাবিত মূল্য ৭৭ কোটি ৪৯ লাখ ১৮ হাজার ৫৯৯ টাকা) এবং বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেড (প্রস্তাবিত মূল্য ৭৯ কোটি ৬৫ লাখ ১১ হাজার ৬২৫ টাকা)।
[৯] সূত্র জানায়, লট-৩-এর আওতায় ২৪ হাজার ২৯৭টি পোল ক্রয়ে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে মনোনীত হয়েছে যৌথভাবে পোলস অ্যান্ড কনক্রিট লিমিটেড, কনটেক কন্সট্রাকশন লিমিটেড, রয়্যাল গ্রীণ প্রডাক্টস লিমিটেড ও শেলটেক টেকনোলজি (প্রস্তাবিত মূল্য ৭৬ কোটি ৬১ লাখ ৫৬ হাজার ৯৪৩ টাকা)।
[১০] অপর দুই দরদাতা প্রতিষ্ঠান হচ্ছেÑ যৌথভাবে ক্যাসেল কন্সট্রাকশন লিমিটেড (প্রস্তাবিত মূল্য ৭৭ কোটি ৬৭ লাখ ৭৩ হাজার ৩৪১ টাকা) এবং যৌথভাবে টিএসসিও পাওয়ার লিমিটেড, একতা পোল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও ভিকার কনক্রিট প্রোডাক্টস (প্রস্তাবিত মূল্য ৭৯ কোটি ৪৭ লাখ ১৭ হাজার ৬৫৭ টাকা)।
