বিশ্বজিৎ দত্ত : [১] ১৩ বছর ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে মারা গেলেন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাতা হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল।
[২] দেশে ও দেশের বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে তার চিকিৎসাসেবাও চলছিল। শেষ পর্যন্ত ফেরানো গেল না সংগীত শিল্পী জুয়েলকে।
[৩] গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন একসময়ের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী, উপস্থাপক হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। [৪] জুয়েলের বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। তার জন্ম ১৯৬৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। তিনি স্ত্রী ও এক কন্যাসন্তান রেখে গেছেন।
[৫] ব্যান্ড সংগীত যখন তুমুল আলোচনায়, ঠিক তখনই ব্যতিক্রমী কণ্ঠ নিয়ে হাজির হন শিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। ব্যাংকার বাবার চাকরির কারণে ছোটবেলায় তাকে থাকতে হয়েছিল দেশের বিভিন্ন জায়গায়। মাবাবার অনুপ্রেরণাতেই গানের জগতে পা রাখেন জুয়েল। প্রথম শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রতিবেশী একজনের কাছে গান শিখেছিলেন আর মঞ্চে প্রথম গান করেছিলেন তখন তিনি পড়েন চতুর্থ শ্রেণিতে।
[৬] ১৯৮৬ সালে ঢাকায় চলে আসেন জুয়েল। এসেই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিকেন্দ্রিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক তৎপরতায় জড়িয়ে পড়েন। তখনই বিভিন্ন মিডিয়ার সঙ্গে তার যোগাযোগ ঘটতে শুরু করে।
[৭] জুয়েলের প্রথম অ্যালবাম কুয়াশা প্রহর প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে। এরপর একে একে প্রকাশিত হয় এক বিকেলে (১৯৯৪), আমার আছে অন্ধকার (১৯৯৫), একটা মানুষ (১৯৯৬), দেখা হবে না (১৯৯৭), বেশি কিছু নয় (১৯৯৮), বেদনা শুধুই বেদনা (১৯৯৯), ফিরতি পথে (২০০৩), দরজা খোলা বাড়ি (২০০৯) এবং এমন কেন হলো (২০১৭)।