কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : [১] একের পর এক ভেঙে পড়ছে নদীর পাড়। ঘর-বাড়ি সরিয়ে কাটা হচ্ছে গাছ বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে কুড়িগ্রামে তীব্র হয়েছে নদী ভাঙন। অন্তত ৫০টি পয়েন্টে ভাঙছে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমার ও গঙ্গাধর। এলাকাবাসীর অভিযোগ, কাজে আসছে না পানি উন্নয়ন বোর্ডের জিও ব্যাগ। স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি তাদের। যদিও বিষয়টি নিয়ে গতানুগতিক আশ্বাস সংশ্লিষ্ট বিভাগের।
[২] একের পর এক ভেঙে পড়ছে নদীর পাড়। ঘর-বাড়ি সরিয়ে কাটা হচ্ছে গাছ। ভাঙনের কবলে কবরস্থান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা। গত এক মাসের ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়েছে জেলার প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার। [৩] কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙছে তিস্তার পার। শুধু তিস্তা নয়, বন্যার পানি কমার সাথে সাথে জেলার অন্তত ৫০টি পয়েন্টে তীর ভাঙছে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার ও গঙ্গাধর নদী। ঘর-বাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে দিশেহারা ভাঙন কবলিতরা। [৪] জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখাঁ এলাকার আমির হোসেন জানান, স্বাধীনতার পর থেকে কয়েকবার বাড়ি ভেঙেছে তিস্তা নদী। এবারও ভাঙনের কবলে পড়েছে। ভাঙন রোধে কোনো কাজ হচ্ছে না। আর এখানে থাকা যাবে না। অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গাও নেই। গত ১৫ দিনে এই এলাকার কমপক্ষে ২০টি বাড়ি নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে।
[৫] সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের রলাকাটার চরের মইনুদ্দিন জানান, এই চরে আমার বাড়িসহ আরও ৫০টি বাড়ি বিলীন হয়েছে। আর ৫০টি বাড়ি গেলে চরটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। বার বার বলার পরও পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো কাজ করেনি। অন্য চরে মানুষের জমিতে বসত গড়েছি। খুব কষ্টে পরিবার পরিজন নিয়ে দিন পার করছি। [৬] সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর জানান, বন্যার সময় থেকে আমার ইউনিয়নের কয়েকটি চরে দুই শতাধিক বাড়ি ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, ভাঙন কবলিত এলাকা বিবেচনা করে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষায় জরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।