সোহেল রহমান : [১] নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখা ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন বিভাগের সমন্বয়ে ৩৭টি দল বাজার তদারকিতে নেমেছে। এসব দল বাজারে চাহিদা মোতাবেক পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করবে। ইতোমধ্যে প্রতিদিন দুটি করে দল বাজারে নামছে। সাত সদস্যের প্রতিটি দল কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে। এ কার্যক্রম চলবে আগামী জুন পর্যন্ত।
[২] বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, তদারককারী দলগুলো বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে পণ্য কেনাবেচা হচ্ছে কি না, মূল্য তালিকা রয়েছে কি না এগুলো দেখবে। পাশাপাশি বাজারে পণ্যের মূল্য মজুদ ও সরবরাহ পরিস্থিতির বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবে।
[৩] সূত্র জানায়, প্রতিটি দলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ছাড়াও কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। এসব দল পরিদর্শনকালে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক অবস্থায় অত্যাবশকীয় পণ্য বিপণন আইনসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
[৪] এদিকে প্রতিবছর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এমন বাজার তদারকি দল গঠন করা হলেও বাজারে সাধারণ ক্রেতারা এর দৃশ্যমান কোনো সুফল পান না বলে অভিযোগ রয়েছে।
[৫] বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বাজার ব্যবস্থায় দুর্বলতার কারণে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী বাড়তি চাহিদার সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা করে যাচ্ছে।
[৬] ভোক্তাদের সংগঠন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর একটি সূত্র মতে, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ছাড়া কেউ মাঠে থাকে না। যদিও তাদেরও তৎপরতা কমে গেছে এখন। এছাড়াও ১১টি সংস্থা রয়েছে, যাদের বাজারে থাকার কথা। কিন্তু তাদের উপস্থিতি তেমন বোঝা যায় না।