শাহীন খন্দকার : [১] কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রভাবে ১৮ জুলাই থেকে বন্ধ রয়েছে যাত্রী ও মালবাহী ট্রেন চলাচল। যদিও এর মধ্যে বিজিবি ও পুলিশের পাহারায় জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল করছে। তবে টানা ১৪ দিন পর স্বল্প দূরত্বের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে।
[২] রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু করে। রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শাহাদাৎ হোসেন জানিয়েছেন, সকাল ৭টায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তিনি বলেন, কমলাপুর স্টেশন থেকে প্রাথমিকভাবে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারি, রাজশাহী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং লালমনিরহাট থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত কমিউটার ট্রেন চলবে। তবে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ট্রেনের সংখ্যা কম।
[৩] ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেনের চলাচল এখনও শুরু হয়নি বলে জানিয়েছেন, রেলের এই কর্মকর্তা। সকাল ৭টায় ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেনটি ছেড়ে যায়।
[৪] রেলওয়ে সূত্রে আরও জানা যায়, আপাতত শুধু লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলছে। তবে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। আন্তঃনগর ট্রেন কবে থেকে চলবে সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বাংলাদেশ রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কারফিউ শিথিল থাকা অবস্থায় স্বল্প দূরত্বের ট্রেনের চাকা চলাচল করছে। [৫] কমলাপুর রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ট্রেন ও যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ট্রেনে রয়েছেন। আজ শুক্রবার (২ আগস্ট) থেকে ট্রেন চলাচল বাড়বে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আগামীকাল শনিবার থেকে আস্তে আস্তে ট্রেন চলাচল বাড়বে। [৬] এর আগে গত মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রেল ভবনের সভাকক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রেন চলাচল শুরু সংক্রান্ত বৈঠকে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) সরদার সাহাদাত এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে ছিলেন যে, (১ আগস্ট) থেকে স্বল্প দূরত্বের ট্রেন চলাচলের। তিনি বলেন, এখনই আন্তঃনগর ট্রেন চলবে না। কারফিউয়ের কারণে আন্তঃনগর সময়মতো চলাচল করতে পারবে না। তবে পরিস্থিতি ঠিক হলে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে।