ঝুমুরী বিশ্বাস : [১] ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে কক্সবাজারের মহেশখালীতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সামিটের এলএনজি টার্মিনাল মেরামত কাজ এখনো শেষ হয়নি। ফলে, দেশে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হতে আরও এক সপ্তাহ লাগবে। সূত্র : রাইজিংবিডি
[২] বুধবার বাংলাদেশ, তেল গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) পরিচালক (অপারেশনস অ্যান্ড মাইনস) প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান খান এ তথ্য জানিয়েছেন। [৩] তিনি বলেন, সামিট গ্রুপের এলএনজি টার্মিনালের মেরামত শেষ না হওয়ায় সেখান থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এটি সচল করতে আরও সাত থেকে আট দিন সময় লাগবে। এর পর ওই এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে। মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির টার্মিনাল দিয়ে এলএনজি সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। [৪] কামরুজ্জামান খান বলেন, সমুদ্রের আবহাওয়া এখন ভালো না। তাই, কাজ করা যাচ্ছে না। আরও সময় লাগবে। সমুদ্র উত্তাল থাকলে পানি ঘোলা হয়ে যায়। তখন পানির নিচে কাজ করা সম্ভব হয় না। পুরোপুরি ঠিক করতে সাত-আট দিন বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে। [৫] পেট্রোবাংলার তথ্য অনুযায়ী, সামিটের এলএনজি টার্মিনালটি বন্ধ থাকায় এখন এক্সিলারেট এনার্জির টার্মিনাল দিয়ে প্রতিদিন মাত্র ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে। [৬] দেশের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আরও দুই হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রতিদিন পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু, প্রতিদিন চাহিদা রয়েছে মোট ৩ হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের। এতে প্রতিদিনই প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের ঘাটতি থাকছে।
[৭] ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে গত ২৬ জুলাই সামিটের এলএনজি টার্মিনালটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সিঙ্গাপুরে প্রয়োজনীয় মেরামত শেষে গত ১০ জুলাই এটি দেশে ফেরে। এরপর ১৭ জুলাই গ্যাস সরবরাহের কথা থাকলেও সেটি সম্ভব হয়নি। পরবর্তী সময়ে গত ২৯ এবং ৩০ জুলাই এটি সচলের কথা জানিয়েছিলেন পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা। তবে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে মেরামত সম্ভব না হওয়ায় আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে।