এক মাসের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ১৩০ কোটি ডলার
মাসুদ মিয়া: [১] এক মাসের ব্যবধানে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ কমেছে ১৩০ কোটি ডলার। গত ৩০ জুন নিট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ১৭৯ কোটি ডলার। গত ৩১ জুলাই তা নেমে এসেছে ২ হাজার ৪৯ কোটি ডলারে। অর্থাৎ আমদানি ব্যাপকভাবে নিয়ন্ত্রণ করার পরও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের নিম্মমুখী অব্যাহত রয়েছে।
[২] আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের হিসাবপদ্ধতি অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের যে হিসাব করে, তাতে গত জুন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ১৭৯ কোটি ডলার। জুলাই শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৯ কোটি ডলারে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের সর্বশেষ যে তথ্য প্রকাশ করে তাতে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
[৩] বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক কয়েকটি পদ্ধতিতে রিজার্ভের হিসাব করে। তার মধ্যে একটি মোট রিজার্ভ। অন্যটি আইএমএফের হিসাবপদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ। এর বাইরে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভেরও একটি হিসাব রয়েছে। তবে সেটি বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিতভাবে প্রকাশ করে না। মোট রিজার্ভ হিসাবে থাকে দায়দেনাসহ রিজার্ভের পরিমাণ। আর বিপিএম৬ পদ্ধতিতে রিজার্ভের হিসাব হয় কিছু দায়দেনা বাদ দিয়ে। আর ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ হচ্ছেসব দায়দেনা বাদ দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে ব্যবহার করার মতো যে রিজার্ভ থাকে সেটি।
[৪] বাংলাদেশ ব্যাংক যে হিসাব প্রকাশ করেছে, তাতে বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভ কমার পাশাপাশি মোট রিজার্ভের পরিমাণও কমেছে। গত জুন শেষে মোট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৬৮২ কোটি ডলার। গত জুলাই শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৯২ কোটি ডলারে। সেই হিসাবে মোট রিজার্ভ কমেছে ৯০ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, সার ও খাদ্যসহ সরকারি আমদানির দায় পরিশোধে প্রতিনিয়ত রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি জুলাইয়ে প্রবাসী আয়ও জুনের তুলনায় ২৫ শতাংশ কমে গেছে। এ কারণে রিজার্ভের ওপর চাপ বেড়েছে। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের বড় দুটি উৎস রপ্তানি ও প্রবাসী আয়। এই দুই খাত থেকে আয় কমলে তাতে রিজার্ভও কমে যায়।