বিশ্বজিৎ দত্ত : [১] গতকাল শনিবার সকালে গণভবনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক থেকে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
[২] প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণভবনের দরজা খোলা। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমি বসতে চাই, তাদের কথা শুনতে চাই। আমি সংঘাত চাই না।
[৩] এ সময় আটক সাধারণ ছাত্রদের মুক্ত করে দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
[৪] গতশুক্রবার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাজের পেশাজীবী, সংস্কৃতিসেবী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ইতোমধ্যে আলোচনা করেছেন। শিক্ষক-আইনজীবী-সাংবাদিকদের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবার সঙ্গে মত বিনিময় হবে।
[৫] তিনি আরও বলেন, সহিংসতায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের তদন্তের জন্য তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে তদন্ত কমিশন কাজ শুরু করেছে। এমনকি এই ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য দেশের কাছে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতাও চাওয়া হয়েছে। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের সদস্য সংখ্যা ও আওতা বাড়ানো হয়েছে—তিনজন বিচারপতিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
[৬] শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি যেহেতু পূরণ হয়েছে, সেহেতু আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষার্থীরা শ্রেণি কক্ষে-পরীক্ষার হলে ফিরে যাবে। তারা কারও অশুভ রাজনীতির ঢাল হিসেবে ব্যবহার হোক এটা জাতি চায় না। পরিবেশ ও পরিস্থিতি অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে খুলে দেওয়া হবে, যোগ করেন তিনি।