প্রসঙ্গ যখন রেমিটেন্স তাহলে কিছু কথা বলতেই হয়
রাশেদুল হক
তারিখটা সপ্তাহ তিনেক আগে, ইমার্জেন্সি টিকেট করে একটা জরুরি কাজে দেশে গিয়েছিলাম, দুবাই থেকে টিকেট পাইনি বিধায় আবুধাবি এয়ারপোর্ট হয়েই যেতে হয়েছে, ১ লাখ ১৬ হাজার টাকা দিয়ে টিকেট (নাম মাত্র বিজনেস ক্লাস), মাত্র ৫ ঘন্টার যাত্রা, বাংলাদেশ বিমান ফ্লাইট নাম্বার ১২৭, ছোট্র একটা ফ্লাইট কিন্তু টিকেটের গলা কাটা দাম তারপরও বাংলাদেশ বিমানেই যেতে হয় কারণ আমি বাংলাদেশী, টাকাটা আমার দেশেই যাবে, চট্টগ্রাম বিমান বন্দরে পৌঁছে ইমিগ্রেশন প্রসেস শেষ করে বেল্ট থেকে ব্যাগেজ কালেক্ট করে বের হওয়ার সময় লাস্ট স্ক্যানিং এর জন্য যখন ব্যাগগুলি দিলাম তখন শুল্ক বিভাগের এক কর্মকতা আমাকে থামতে বলেন, জিজ্ঞেস করলেন আপনি কতদিন পর দেশে আসতেছেন? বললাম, এক মাস পর তারা আমার পাসপোর্ট নিলেন, আমার ব্যাগ দুইটি খুলতে বললেন, আমি ব্যাগ দুইটি খুলে তাদের সামনে রাখলাম। কিন্তু অনেক সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও তারা কোন প্রকার তল্লাশি করতেছে না দেখে অনুরোধ করলাম ভাই কি চেক করবেন কাইন্ডলি দ্রুত চেক করে আমাকে মুক্তি দিন, আমি খুব টায়ার্ড, একজন আমার দিকে কড়া চোখে থাকিয়ে শাসিয়ে বললেন, দাঁড়ায় থাকেন বেশি কথা বললে ব্যাগ দুইটি চিজ করে রেখে দেবো, প্রায়ই দেড় ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পর একজন ব্যাগ দুইটি উলটপালট করে চেক করে দেখলেন, জিজ্ঞেস করলেন, স্বর্ণ বা মোবাইল আনেন নি?
বললাম, না, জিজ্ঞেস করলেন, তাহলে ঘনঘন দেশে আসতেছেন কেনো? আমি কুৎসিত এই প্রশ্নটার উত্তর না দিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলাম, কারণ পতিতালয়ের একজন দালালও এমন প্রশ্ন করবে মনে হয় না, আমার দেশ আমি মাসে কয়বার যাতায়াত করবো তুই জিজ্ঞেস করার কে! যাইহোক, তারা মোবাইল বা স্বর্ণ কোন কিছুই না পেয়ে কিছুটা হতাশ, বাড়িতে লাগানোর জন্য ছয়টা সিসি ক্যামেরা এবং একটা ডিভিআর ছিলো ল্যাগেজে, এবার তারা এগুলোর উপর সোয়ার হলো, বলল, ক্যামেরার উপর শুল্ক পে করতে হবে, আমি বললাম, আপনার আমাকে লিস্ট দেখান কোথায় লেখা আছে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ক্যামেরার উপর শুল্ক দিতে হবে?
তাদের একজন পুনরায় একই ধমক দিয়ে বললেন, দশহাজার টাকা পে না করলে ক্যামেরাগুলো চিজ করে রাখবো, ইতিমধ্যে দুইঘন্টা অতিবাহিত হয়ে গেলো, আমি প্রচন্ড টায়ার্ড অনুভব করছি।