ক্রসরোডে বাংলাদেশের প্রয়োজন সেকেণ্ড রিপাবলিকে উত্তরণ
মাসুদ রাণা
বাংলাদেশ এখন রাজনীতির একটি ক্রসরৌডে। চলমান ছাত্র-আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এখন হচ্ছে কিংবা কী হবে, তার স্পষ্টতার অভাব উদ্বেগের সাথে লক্ষণীয়।
বাংলাদেশের ইতিহাসের ব্যতিক্রমরূপে, আন্দোলন করছে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী, আর সরকারের বাইরে থাকা রাজনৈতিক দল ও তাদের ছাত্র সংগঠনগুলো আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকার বদলে এর অনুসারী কিংবা দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। তথাপি, যদি কোনো দল বা সংগঠন এর মধ্যে চাবি-ভূমিকা পালন করেও থাকে, তা তারা করছে ছদ্মবেশে।
প্রাথমিক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে, আন্দোলন দৃশ্যতঃ বিস্তৃত ও বেগবান হচ্ছে এবং একদফা- তথা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবী- উচ্চারিত হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে যদি সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়, এটি হবে একটি সফল গণ-অভ্যূত্থান।
গণ-অভ্যূত্থান সফল হোক বা না-হোক, বাংলাদেশে শেষপর্যন্ত বর্তমান প্রকারের রাজনীতি আর টেকসই হবে বলে মনে হচ্ছে না। আমার ধারণা, সমগ্র জাতিই শুধু সরকারের নয়, বরং সমগ্র রাজনীতি, রাষ্ট্রপরিচালনা নীতি, অর্থনীতি, শিক্ষানীতি, চিকিৎসা নীতি, প্রতিরক্ষা নীতি, পররাষ্ট্রনীতিসহ একটি সার্বিক রাষ্ট্রীয় সংস্কার চাচ্ছে।
আমি মনে করি, এখনই সময় আমাদের আমাদের রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সংস্করণের পাণ্ডুলিপি প্রকাশ করার। অর্থাৎ, ফ্রান্সে যেমন এখন চলছে ফিফথ রিপাবলিক, বাংলাদেশেরও প্রয়োজন সেকেণ্ড রিপাবলিক।
এই সেকেণ্ড রিপাবলিকটি কী? এটি হবে আমাদের ফার্স্ট রিপবালিক থেকে বিকাশের পথে উত্তরণ, যা হবে আমাদের ৫৩ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে সংস্কারকৃত একটি রিপাবলিক। কেমন হওয়ার উচিত এর চেহারা? আমি প্রস্তাব করতে চাই একটি পরিপূর্ণ রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা।