ঈদে পাড়ার প্রায় সব বাড়িতেই ঘুরতে যেতাম
খুশী কবির
ঈদ মানেই আনন্দের বিষয়। আমার ছোটবেলার ঈদটা অনেক আনন্দে কেটেছে। তখনকার সময়টা ছিল অন্যরকম। মা-বাবা, ভাই-বোন একসঙ্গে ঈদ কাটাতাম। ঈদে সব বন্ধুরা মিলে পাড়ায় ঘুরতাম। তখন শহরটা খুব সুন্দর ছিল। পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন এবং গোছাল ছিল। শহরটা অনেকটাই নিরাপদ ছিল। আমরা বাচ্চারা যারা একসঙ্গে বড় হয়েছি এবং সবাই মিলে নানা জায়গায় ঘুরে বেড়াতাম। ঈদে পাড়ার প্রায় সব বাড়িতেই আমাদের যাওয়া হতো। আমরা ঘুরতে যেতাম। ঈদে অনেক মজার মজার খাবার খাওয়া হতো। আনন্দ, হৈ হুল্লোড় করতাম। অনেক মজা করতাম। ঈদ বরাবরই একটা সামাজিক অনুষ্ঠান হিসেবেই হয়ে এসেছে, তখন তেমন একটা জাঁকজমক বা চাকচিক্য দেখা যেত না। বর্তমানে ওইভাবে ঈদ পালন করা হয় না। বাড়িতে তেমন লোকজন নেই। আমাদের মেয়েটাও দেশের বাইরে। সেজন্য খুব একটা বড় পরিসরে ঈদের আয়োজন করা হয় না। এখন যেটা হয় পরিবারের সবাই যদি ঢাকায় থাকি তাহলে একসঙ্গে সবার খাওয়া-দাওয়াটা হয়। খুব সাদাসিদাভাবে ঈদটা পালিত হয়। ছেলেবেলায় ঈদে অনেক মজা করেছি। সময়ের সঙ্গে এখন আর সেভাবে ঈদ আনন্দ করা হয়ে ওঠে না।
ঈদ আনন্দ সবাই ভাগাভাগি করে নেওয়া উচিত। ধনী-গরিব যেন এখানে ভেদাভেদ না থাকে। আমরা বড় হতে হতে অনেক প্রতিকূলতা দেখেছি এদেশের। এদেশের মানুষ। সময় বদলেছে। এখন মানুষ স্বাবলম্বী হচ্ছে। তবে এখনো এখানে বৈষম্য রয়েছে। গরিব-ধনীর মধ্যে পার্থক্য। এখানে যাতে ধনী-গরিবের মধ্যে বৈষম্য কমে, এদেশের প্রতিটি মানুষ যেন একসঙ্গে ভালো থাকতে পারে সেই ব্যবস্থার দিকে আমাদের মনোযোগ দিতে হবে। আমাদের প্রতিটি দিনই যেন ঈদ হয়। ঈদ আনন্দ হয়।
পরিচিতি: মানবাধিকারকর্মী
মতামত গ্রহণ:সাগর গনি/সম্পাদনা: আশিক রহমান