দীপক চৌধুরী : গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ঢাকায় কর্মরত ৪০ ভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য সরকারি আবাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে এ সুবিধা গড়ে তোলা হবে। বর্তমানে মাত্র আট ভাগ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সরকারি আবাসনের সুবিধা পান।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনকালে গতকাল তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আগারগাঁও, আজিমপুর ও মতিঝিলে নির্মাণাধীন ভবনসমূহ পরিদর্শন করেন। গণপূর্ত অধিদফতর এসব ভবন নির্মাণ করছে। এ সময়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান মুন্সী, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এসএম আরিফ উর রহমান, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিভিন্ন কোয়ার্টার্সের বর্তমানে পুরনো ভবনগুলো ভেঙ্গে সুউচ্চ বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে। ফলে কম জমিতে অধিকসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীর আবাসিক সুবিধা গড়ে তোলা যাবে। দেশের জমির পরিমাণ কম। তাই সুউচ্চ আবাসকি ভবন নির্মাণ করে জমির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
মন্ত্রী কাজের অগ্রগতি এবং গুণগত মান দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এসময়ে তিনি নির্মাণাধীন প্রতিটি ভবনে পৃথক স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্যান্ট (এসটিপি) স্থাপন এবং সীমানা প্রাচীরের অভ্যন্তর ঘেঁষে পায়ে হাঁটার পথ নির্মাণের নির্দেশ দেন। একইসাথে কোয়ার্টার্সের অভ্যন্তরের খালি জায়গার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার (ল্যান্ডস্কেপ) মাধ্যমে বাসযোগ্য পরিবেশ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করারও নির্দেশ দেন।
আগারগাঁও এলাকায় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ১৫ তলার আটটি ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এখানে ৪৪৮ জন কর্মকর্তা কর্মচারী বসবাস করতে পারবেন। এজন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২১৮ কোটি টাকা। এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এসব ভবনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উঠতে পারবে। আজিমপুরে ২৪৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ছয়টি ২০তলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব ভবনে ৪৫৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর আবাসনের ব্যবস্থা হবে। মতিঝিলে চারটি ২০তলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব ভবনে ৫৩২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী বসবাস করতে পারবে। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১২ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের মধ্যে এসব ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হবে।