নাটোরে পাটের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি
নাটোর প্রতিনিধি : অনুকূল আবহাওয়া, সার, ও ভাল বীজের সহজলভ্যতা থাকায় নাটোর সদর সহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এবার পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে পাটজাত পণ্যের চাহিদা বাড়ায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দেড়গুনে। এরইমধ্যে বিভিন্ন উপজেলায় সোনালী আঁশ পাট আহরণ শুরু হয়ে গেছে।
চলতি মৌসুমে পাটের বাম্পার ফলনে লাভের আশা করছেন চাষীরা। অন্যান্য বছরের তুলনায় নাটোরে এবার যথাসময়ে খরা ও ভাল বৃষ্টিপাত, ভাল বীজের সহজলভ্যতা ও সার সংকট না থাকায় চলতি বছর পাটের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া, ভাল বৃষ্টিপাতের কারণে পাট জাগ দেওয়ার সমস্যা দুর হওয়ার পাশাপাশি বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে না চাষীদের। তবে ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের পাট গুদামজাতকরনের কারনে সাধারন পাট চাষীরা যাতে আর্থিকভাবে মার না খায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে পাটের সঠিক ও নায্য দাম নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন চাষীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নাটোর সদরসহ অন্যান্য উপজেলায় পাটের চাষ বেড়েছে দেড়গুন। চলতি বছর জেলায় ১৬১০১ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে তা দাড়িয়েছে ২৩৮৭০হেক্টরে। অন্যদিকে, গত বছর জেলায় ১৫৮৭০হেক্টর জমিতে পাটের চাষ করা হয় এবং পাট ঊৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৫,৩৯০১ বেল।
এবছর বাজারে নতুন পাট বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি ১৫০০-২০০০হাজার টাকায়। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, নাটের সদরসহ অন্যান্য উপজেলায় এবার ব্যাপক পাটের চাষ হয়েছে। পাটচাষীরা এখন পাট কাটা, জাগ দেওয়া, এবং আঁশ আহরনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পরিমাণ মত বৃষ্টিপাতের কারণে পকুর, খাল-বিল এবং নদী নালায় পানির পরিমান বেড়ে যাওয়ায় পাট জাগের সমস্যা কমেছে। এতে করে জাগ দিতে বাড়তি খরচের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন চাষীরা। তবে, পাটের বাজার দর ভাল গেলে লাভের আশায় করছেন জেলার চাষীরা।
সদর উপজেলার ছাতনী গ্রামের কৃষক মহসিন আলী আলী জানান, এ বছর তিনি ৫বিঘা জমিতে পাটের চাষ করেছেন। এতে বিঘা প্রতি ৫-৮হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আর বিঘা প্রতি উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৮-১০মণ।