আশরাফুল নয়ন,নওগাঁ : দেশের সবচেয়ে বড় চালের মোকামে নওগাঁর পাইকারি বাজারে মোটা চালের দাম কমেছে বস্তা প্রতি দুইশ থেকে আড়াইশ টাকা। জানা গেছে, কৃষি প্রধান জেলা নওগাঁয় গত বছরের আগস্ট মাস থেকে দফায় দফায় চালের দাম বৃদ্ধি পায়। সে তুলনা চিকন জাতের চালের দাম তেমন বৃদ্ধি পায়নি। মোটা জাতের চালের দাম প্রায় ১৬-১৮ টাকা বৃদ্ধি পায়। ঈদের আগে খুচরা চালের বাজার ছিল, বিআর-২৮, ৪৮ টাকা, হাইব্রিড ৪০ টাকা ও স্বর্ণা ৪৫ টাকা কেজি। বতর্মানে চালের বাজার বিআর-২৮, ৪৫/৪৬ টাকা, হাইব্রিড ৩৭/৩৮ টাকা ও স্বর্ণা ৪২/৪৩ টাকা কেজি। অর্থ্যাৎ প্রতিকেজি মোটা চাল কেজিতে ২/৩ টাকা কমেছে। তবে চিকন চাল জিরাশাইল ৫০ টাকা কেজি ও পাইজাম ৫৮ টাকা কেজি হলেও কোন দরপতন হয়নি। আর বস্তা প্রতি পূর্বে ছিল বিআর-২৮, ২২০০-২২৫০ টাকা, স্বর্ণা ২১৫০-২২০০ টাকা, হাইব্রিড ১৮৫০-১৯০০ টাকা। মোটা চাল ৫০ কেজি ওজনে প্রতিবস্তায় কমেছে ১৫০-২০০ টাকা। তবে পাইকারী বাজারে বস্তাপ্রতি ২০০-২৫০ টাকা কমলেও খুচরা বাজারে কমেছে ১৫০-২০০ টাকা।
নওগাঁ পৌর খুচরা চাল বাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সরকার বলেন, এক শ্রেণির ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে চালের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছিল। সরকার এলসির শুল্ক কমানোর ঘোষণা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে চালের দাম কমতে শরু করেছে। তবে এলসি’র চাল খুরচা বাজারে এখনো আসেনি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এলসি’র চাল খুরচা বাজারে আসলে দাম আরও কমবে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান