এরদোগান বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে ১৬ লাখ তুর্কি
কামরুল আহসান : সুবিচারের দাবিতে এরদোগান বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে ১৬ লাখ তুর্কি। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা থেকে ইস্তাম্বুলে জড়ো হয়েছে তারা। অনেকে প্রায় ২৫ দিন ধরে ৪৫০ কিলোমিটার হেঁটে ওই বিক্ষোভে যোগ দেয়। এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিরোধী দলীয় নেতা কামাল কিলিসড্রাগলু। আন্দোলনকারীদের মধ্যে প্রধান বিরোধীদল পিপলস পার্টির সমর্থক ৮৭ শতাংশ। বর্তমান ক্ষমতাসীন একে পার্টিরও ১০ শতাংশ মানুষ এই আন্দোলনে শরিক হয়েছে বলে জানিয়েছে আরব নিউজ। তুরস্ক সরকার এই আন্দোলনের কোনো সংবাদ প্রচার করতে দিচ্ছে না। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমও এ খবর প্রায় ধামাচাপা দিয়ে রাখছে। গতকাল পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের সংখ্যা ছিল মাত্র ১০ হাজার। আর আজ তা একদিনেই তা ১৬ লাখ। আন্দোলনকারীরা আশা করছে তাদের আন্দোলনে শরিক হবে আরো অসংখ্য মানুষ। এখনো অসংখ্য মানুষ নানা দিক থেকে এসে ইস্তাম্বুলে জড়ো হচ্ছে। তাদের ব্যানারে লেখা, বিচারই মানবতার ভিত্তি। তারা একনায়কতন্ত্রের অবসান চায় এবং প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের পদত্যাগ চায়।
প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ ২০০৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ২০১৪ সাল থেকে তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে। এর মধ্যে কয়েকবার তিনি সামরিক অভ্যুত্থানসহ বিরোধীপক্ষের বিক্ষোভের শিকার হয়েছেন। প্রতিবারই তিনি তা শক্ত হাতে দমন করেছেন।
বিরোধীপক্ষের অভিযোগ, তুর্কির শাসনব্যবস্থা এখন একমাত্র একজন লোকের উপরই নির্ভর হয়ে পড়েছে। সমস্ত বিচারব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। অসংখ্য গুমহত্যার কোনো তদন্ত হচ্ছে না। তারা এই স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বৈরাচারী সরকারের অবসান চান অসংখ্য সাধারণ তুর্কি।
এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট এরদোগান এই আন্দোলন সম্পর্কে কিছু বলেননি। আরব নিউজ