গোপনে গোপনে রক্ষিতা পোষেন ফরহাদ মজহার : তসলিমা নাসরিন
বেচারা ফরহাদ মজহার। নিজের তহবিল থেকে তিরিশ লাখ টাকা নেওয়ার অধিকার তাঁর নেই। তাই একটা বাজে ধরণের ‘অপহরণ নাটক’-এর মাধ্যমে সঙ্গিনীকে ধোঁকা দিয়ে টাকাটা নিতে চেয়েছিলেন। হিন্দুবিদ্বেষী আঁতেল তাঁর কন্যার অথবা প্রায় নাতনীর বয়সী এক হিন্দু মেয়ের সঙ্গে শুয়ে মেয়েটিকে প্রেগ্নেন্ট করেছেন। একবার নয়, বার বার। কতটুকু দায়িত্বহীনতার কাজ করেছেন তিনি ভাবা যায়! ভায়াগ্রা সেবন করতে পারেন, অথচ কন্ডম পরতে আপত্তি! গর্ভপাত করিয়ে মেয়েটি একবার মরতে বসেছিল। এবারও গর্ভপাত করার নির্দেশ দিয়েছেন ফরহাদ মজহার, তবে এবার নাকি ভালো ডাক্তার দিয়ে করিয়ে দেবেন। ফরহাদ মজহার, যিনি নারীর কর্তৃত্ব নারীকেই নিতে বলতেন কবিতায়, বাস্তবে তিনি নারীর কর্তা সেজে বসে থাকেন, নারীকে নিতান্তই ভোগ্যপণ্য বানান। এই দ্বিচারিতা, এই হঠকারিতা, এই নারীবিরোধিতা আমাদের সমাজের প্রায় প্রতিটি প্রখ্যাত পুরুষের চরিত্রে।
কেউ কি জানতো আমাদের ইসলাম-প্রেমি কবি গোপনে গোপনে রক্ষিতা পোষেন! নাট্যকার হিসেবে তিনি এত কাঁচা যে এ যাত্রা ধরা পড়ে গেছেন। কিন্তু আমার বিশ্বাস তিনি পার পেয়ে যাবেন শীঘ্রই। যত হোক পুরুষ তো! পুরুষরা তো একটু আধটু এসব করতেই পারেন! সর্বনাশ হতো যদি মানুষটি পুরুষ না হয়ে নারী হতেন। সূত্র : ফেসবুক।