কক্সবাজারের ১৯ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ১৩ সেপ্টেম্বর
জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না : একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে কক্সবাজারের সালামত উল্লাহ খানসহ ১৯ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ দেবেন আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের অনুপস্থিতির কারণে গতকাল এ বিষয়ে কোন আদেশ দেয়া হয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ২ সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ এই দিন নির্ধারণ করেন।
গতকাল ট্রাইবুনালে শুনানি করেন প্রসিকিউটর রানা দাসগুপ্ত। তাকে সহযোগিতা করেন প্রসিকিউটর সুলতানা রেজিয়া ও প্রসিকিউটর তাপস কান্তি বল। আসামিপক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী তারিকুল ইসলাম ও আইনজীবী মাসুদ রানা।
গত ২২ মে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে ৭ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে কারাগারে থাকা অবস্থায় ৭ আসামির মধ্যে একজন মারা যান। বাকি ৬ জন কারাগারে রয়েছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, নারী নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, ধর্মান্তর ও দেশান্তরকরণসহ ১৩টি অভিযোগ আনা হয়েছে। একই মামলায় এর আগে আসামি ছিলেন ১৯ জন। তবে গ্রেফতারকৃত একজন মারা যাওয়ায় মোট আসামি হন ১৮ জন। নতুন আরো একজন আসামি যুক্ত হওয়ায় মোট আসামি দাঁড়ালো আবারো ১৯ জনে। নতুন আসামি হলো সাবেক এস আই শফিকুল হক।
সালামত উল্লাহ খান ছাড়াও মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন মৌলভী জাকারিয়া শিকদার (৭৮), মো: রশিদ মিয়া বিএ (৮৩), অলি আহমদ (৫৮), মো: জালাল উদ্দিন (৬৩), মৌলভী নুরুল ইসলাম (৬১), মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাবুল (৬৩), মমতাজ আহম্মদ (৬০), হাবিবুর রহমান (৭০), মৌলভী আমজাদ আলী (৭০), মৌলভী আব্দুল মজিদ (৮৫), বাদশা মিয়া (৭৩), ওসমান গণি (৬১), আব্দুল শুক্কুর (৬৫), এস আই শফিকুল হক, মো: জাকারিয়া (৫৮), মো: জিন্নাহ ওরফে জিন্নাত আলী (৫৮) মোলভী জালাল (৭৫) ও আব্দুল আজিজ (৬৮)। এদের মধ্যে সালামত উল্লাহ খানসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তারা হলেন সালামত উল্লাহ খান, মো: রশিদ মিয়া বিএ, মৌলভী নুরুল ইসলাম, বাদশা মিয়া, মৌলভী ওসমান গনি, মৌলভী শামসুদ্দোহা, মো.জিন্নাত আলী ও মোলভী সামসুদ্দোহা (৮২) । তদের মধ্যে মৌলভী সামসুদ্দোহা (৮২) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ