রফিক আহমেদ : আ স ম রবের বাসায় ডিনার পর্টিতে পুলিশী অভিযানের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজামান। তিনি বলেন, এটা সরকারের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ। গতকাল শুক্রবার একান্ত আলাপকালে তিনি এ প্রতিবেদকের কাছে এসব কথা বলেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজামান বলেন, জেএসডি’র সভাপতি আ স ম আবদুর রব আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জোটের বাইরে প্রায় সকল দলের শীর্ষ নেতাদের তার উত্তরার বাসায় গত বৃহস্পতিবার এক চা-চক্র ও নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই মোতাবেক সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. বদরুদৌজা চৌধুরী, বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, এস এম আকরাম ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হকসহ অনেকেই উপস্থিত হয়েছিলেন। এর বাইরেও সুজনের সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারও উপস্থিত হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, রাত তখন সাড়ে ৭টা, নেতারা হালকা মেজাজে কথাবার্তা বলছিলেন ও কুশল বিনিময় করছিলেন এমন সময় পুলিশের এসআই পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা রবের বাস ভবনের ভেতরে বাসায় ঘরে ঢুকে পড়েন এবং সবার উপস্থিতিতে বলেন যে, এখানে মিটিং করা যাবে না-কারণ কারো অনুমতি নেই। এসময় আ স ম রব তার বাড়িতে দাওয়াতের প্রসঙ্গ উল্লেখ করার পরও পুলিশ কর্মকর্তা নিবৃত্ত হচ্ছিলেন না এবং তিনি বার বার উপরের নির্দেশের কথা বলছিলেন। পরে নির্দেশদাতাকে হাজির হওয়ার কথা বলার পর তিনি চলে যান। কিছুক্ষণ পরই আবার ফিরে এসে স্বল্পসময়ের মধ্যে স্থান ত্যাগের কথা বলেন। তবে বাড়ির গেটের বাইরে পোশাকদারী পুলিশ ও সাদা পোশাকী বহু লোকের জটলা ছিল।
তিনি আরও বলেন, রাত ১১টায় নেতৃবৃন্দ বাসা থেকে বেরিয়েও এ দৃশ্য দেখতে পান। সাংবাদিকদের সেখানে দাঁড়াতে দেয়া হয়নি। তারপরও যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের সামনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বি. চৌধুরী বলেন, স্বাধীন দেশে স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরে গণতান্ত্রিক বলে দাবিদার সরকারের শাসনামলে পুলিশের এ আচরণে আমরা দুঃখিত ও লজ্জিত। আশা করি এ ধরণের অশালীন, উদ্ধত্যমূলক ও ভীতি সঞ্চারক পুলিশী কর্মতৎপরতাকে সরকার উৎসাহিত করবে না এবং প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই।
এ বিষয়ে আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘ঈদ-উত্তর আমার বাসায় রাজনীতিকদের চা-চক্রের দাওয়াত দিয়েছি। ঘরে ভেতর চা-চক্র করতে পুলিশের অনুমতি লাগে না। এখানে পুলিশের কোনো বিষয় না। আমি পুলিশ কর্মকর্তাকে বলেছি, এখানে রাজনৈতিক কোনো বিষয় না। তোমরা এখন যাও। তারপরও তারা বাসার সামনে অবস্থান নিয়ে অতিথিদের প্রবেশে বাধা দেয়।
ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি আলী হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, আ স ম আবদুর রবের বাসায় লোকজন এসেছে শুনে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে তল্লাশির জন্য নয়, নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে পুলিশ বাসার বাইরে অবস্থান নিয়েছিল। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ