-ওবায়দুল কাদের
আল হেলাল শুভ : আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ না চাইলেও বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে। এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল শুক্রবার বিকালে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সঙ্গে দলীয় সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সম্পাদকম-লীর জরুরি সভা শেষে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এ সময় আগস্ট মাসের কর্মসূচি পালনের নামে ভুয়া সংগঠন বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করে যেন চাঁদাবাজি করতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের।
বিএনপির উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির রূপকল্প বা ‘ভিশন ২০৩০’ মানেই বিভিন্ন জেলায় জেলায় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ভীষণ মারামারি। সদস্য সংগহের নামে তারা জেলায় জেলায় যেভাবে বিশৃঙ্খলা করছেন, তাতে দলটির নেতা-কর্মীদের গায়ে কাপড় থাকে না, এগুলো দেখে হাসি পায়। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়, সেগুলো দেখার পর বিএনপি নকল করে করতে গিয়েই বিপাকে পড়ে।
আওয়ামী লীগকে বিএনপি অনুকরণ করে এমন মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আজকের ভিশন শুধু নয়, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের পর আমরা স্লোগান দিয়েছিলাম, ‘এক মুজিবের লোকান্তরে, লক্ষ মুজিব ঘরে ঘরে।’ এরপর জিয়াউর রহমান হত্যার পর বিএনপিকে দেখেছি ‘এক জিয়া…” এমন স্লোগান দিতে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছি, আ স ম আব্দুর রব ভাই আমার নেতা ছিলেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। তার বাসায় উল্টাপাল্টা কিছু ঘটে থাকলেও অবশ্যই খবর পেতাম। তেমন কিছু ঘটেনি। তারপরও আমি খবর নেব। এ সময় তিনি আরও বলেন, নির্বাচন নিয়ে নতুন নতুন ধারা তৈরি হবে গণতন্ত্রের দিক বিবেচনায় এটা চলুক সেটা আমরাও চাই। শেষ না দেখা পর্যন্ত এ বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
সারাদেশে ৩১টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় খুব ভালোভাবে সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হয়নি বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জিতলে খবর আসে না। এটা যদি বিএনপি করতো, তবে বড় করেই খবর প্রকাশ হতো।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওসার, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেইন প্রমুখ।