স্বাস্থ্যসচেতনতা কেন জরুরি?
ডা. সামন্ত লাল সেন
বিরল রোগ, অজ্ঞাতনামা রোগ আগেও ছিল, এখনো আছে। কিন্তু এখনকার মানুষ অনেক বেশি স্বাস্থ্যসচেতন। প্রায় সব বিষয়েই মানুষ এখন ধারণা রাখে। দেশ কিংবা বিদেশ। শিক্ষা বা স্বাস্থ্য। মানুষের জানার আগ্রহ, সচেতনতার জায়গাটি এখন যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বহির্বিশ্বের সঙ্গে মানুষ এখন যুক্ত থাকছে প্রায় সবসময়ই। ফলে তারা বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারছে, সার্বিকভাবে অবগত হচ্ছে। মানুষ আগের চেয়ে বেশি সচেতন বিধায় অজানা, অজ্ঞাত রোগ মানুষের নজরে আসছে। গ্রামে-গঞ্জে এখনো গরিব, অশিক্ষিত এবং স্বল্পশিক্ষিত মানুষ ঝাড়, ফুঁ-তে বিশ্বাসী। পাশাপাশি এক শ্রেণির মানুষ পল্লী চিকিৎসকদের পাল্লায় পড়ে রোগের ঠিকমতো ট্রিটমেন্ট করতে পারে না। এখনো দেখা যায়, ফকির দিয়ে ঝাড়ানো এবং ফুঁ দেওয়ার কর্মকা- চলে। আবার দেখা যায়, মাটির মধ্যে গর্ত করে রোগীকে শুইয়ে ট্রিটমেন্ট করা হয়। এই সমস্ত কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে সাধারণ রোগটিও জটিল আকার ধারণ করতে পারে। এর ফলে এ ধরনের সমস্যা দিন দিন বাড়বে।
কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের গ্রাম থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। ব্যাপক মাত্রায় প্রচার-প্রচারণা চালানো প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। এক্ষেত্রে প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ইত্যাদি জায়গাগুলোতে স্বাস্থ্যশিক্ষা নিয়ে সভা, সেমিনার, মিটিং, মিছিল করা উচিত। এসব সভা-সমাবেশের মাধ্যমে গ্রামের ওইসব অসচেতন মানুষ বোঝাতে হবে। আমাদের স্বাস্থ্যসচেতন হওয়া খুবই জরুরি। কারণ স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।
পরিচিতি: উপদেষ্টা, জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট
মতামত গ্রহণ: ফাতেমা-তুজ-জোহরা/সম্পাদনা: আশিক রহমান