তাজউদ্দীন আহমদের জীবনের গৌরবোজ্জ্বল দিক তুলে ধরে স্মরণ করলেন বক্তারা
দীপক চৌধুরী : মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ৯২তম জন্মদিন নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ২১দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার আনন্দ র্যালী, কেক কাটা, বির্তক প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। তাজউদ্দীন আহমদের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কাপাশিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। বক্তারা তাজউদ্দীন আহমদকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর পরীক্ষিত সহকর্মী হিসাবে উল্লেখ করে তার জীবনের বিভিন্ন গৌরবোজ্জল দিকে তুলে ধরেন আলোচনায়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান লস্কর মিঠু, যুবলীগ সভাপতি মাহবুবউদ্দিন সেলিম, সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন প্রধান, কৃষকলীগ সভাপতি প্রফেসর আইনউদ্দিন, মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রওশন আরা সরকার, সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেমা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। তাজউদ্দিন আহমেদ ১৯২৫ সালের ২৩ জুলাই কাপাসিয়ার দরদরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মৌলভি ইয়াসিন আহমেদ খান, মায়ের নাম মেহেরুন্নেসা খানম। আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি বহুবার জেল খেটেছেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় ’৭০-এর নির্বাচনে কাপাসিয়া আসন থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হয়ে ৯মাস পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে যুদ্ধ পরিচালনা করে ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতিকে এনে দেন একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্বদেশে ফিরে এলে তার হাতে ক্ষমতা তুলে দেন তাজউদ্দিন আহমেদ।
পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়সহ অন্য মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করার পর তাজউদ্দিন আহমেদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে জেলখানায় বন্দি করা হয়। বন্দী থাকা অবস্থায় ৩ নভেম্বর ১৯৭৫ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে অপর ৩ সহযোগীর সাথে নিহত হন দেশ গড়ার এই অন্যতম স্থপতি বঙ্গতাজ তাজউদ্দিন আহমেদ।