ডেস্ক রিপোর্ট : মাওয়া প্রান্তে পাইলিংয়ের জটিলতা কাটাতে পদ্মা সেতুর নকশায় আনা হচ্ছে পরিবর্তন। পাইলের দৈর্ঘ্য কমিয়ে সংখ্যা বাড়ানোর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে এখন। এতে প্রকল্পের মেয়াদ ৬ মাস বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন পদ্মা সেতু বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান জামিলুর রেজা চৌধুরী। সংশোধিত কর্মপরিকল্পনার কথা স্বীকার করছে সেতু কর্তৃপক্ষও।
আমাজনের পর বিশ্বের সবচেয়ে খরস্রোতা নদী পদ্মা। প্রতি বর্ষায় পলি জমে বদলাচ্ছে এর গতি-প্রকৃতি। নদীর তলদেশে দেখা দিচ্ছে পরিবর্তন। মাটির ধরন ও স্রোত বিবেচনায় শুরুতে পাইলের গভীরতা ১২২ মিটার ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু মাওয়া পাড়ে মাটির স্তরে পরিবর্তনে বালুর জায়গায় মিলছে কাদামাটি। তাই মাওয়ায় পাইলের গভীরতা কমিয়ে সংখ্যা বাড়ানোর নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
দেড় বছরে সোয়া ৬ কিলোমিটার দ্বিতল সেতু তৈরিতে পদ্মার দু’পাড়ে এখন বিশাল কর্মযজ্ঞ। ১০ হাজার বিদেশিসহ অসংখ্য শ্রমিক কাজ করছেন দিনরাত। তবে এরপরেও নির্ধারিত পরিকল্পনা থেকে ১০ ভাগ পিছিয়ে প্রকল্পের কাজ।
পদ্মার এ গতি-প্রকৃতি চীনা ঠিকাদারের কাছে নতুন অভিজ্ঞতা। তাই আনা হয়েছে জার্মান বিশেষজ্ঞ। তবে এরপরেও প্রকল্পের মেয়াদ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান। তবে এখনো নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করতে আশাবাদী প্রকল্প পরিচালক।
অবশ্য তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ১শ বছর দীর্ঘস্থায়ী সেতুর গুণগত মানে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ। সূত্র : ঢাকা টুডে। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী