হবিগঞ্জে চার শিশু হত্যা, তিনজনের মৃত্যুদ-
আশরাফ চৌধুরী রাজু, সিলেট : হবিগঞ্জের বাহুবলে চার শিশু হত্যা মামলায় তিন আসামিকে মৃত্যুদ- দিয়েছে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া সাত বছরের কারাদ- দেওয়া হয়েছে দুজনকে। খালাস পেয়েছেন অন্য তিনজন। বুধবার (২৬ জুলাই) সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান এই রায় দেন। মৃত্যুদ- পাওয়া আসামিরা হলেন রুবেল মিয়া, আরজু মিয়া ও উস্তার আলী। এর মধ্যে উস্তার আলী পলাতক রয়েছেন। এই মামলার প্রধান আসামি বাচ্চু মিয়া র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আগেই নিহত হয়েছেন। আসামিদের মৃত্যুদ-ের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। জুয়েল মিয়া ও শাহেদকে সাত বছরের কারাদ-ের পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন বিচারক। আর হত্যাকা-ে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় দ- পাওয়া জুয়েল-রুবেলের বাবা আব্দুল আলী বাগাল এবং পলাতক আসামি বাবুল মিয়া ও বিল্লাল খালাস পেয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কিশোর কুমার কর এসব তথ্য জানিয়েছেন। গত বছর ১২ ফেব্রুয়ারি বিকালে বাড়ির পাশের মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের আবদাল মিয়া তালুকদারের ছেলে মনির মিয়া (৭), ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), আব্দুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০) ও আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল হোসেন (১০)। মনির সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে, তার দুই চাচাত ভাই শুভ ও তাজেল একই স্কুলে দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। আর তাদের প্রতিবেশী ইসমাইল ছিল সুন্দ্রাটিকি মাদ্রাসার ছাত্র। নিখোঁজের পাঁচ দিন পর ইছাবিল থেকে তাদের বালিচাপা লাশ উদ্ধার হলে দেশজুড়ে আলোচনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় বাহুবল থানায় ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মনির মিয়ার বাবা আবদাল মিয়া। সুন্দ্রাটিকি গ্রামের দুই পঞ্চায়েত আবদাল মিয়া তালুকদার ও আব্দুল আলী বাগালের মধ্যে পারিবারিক বিরোধের জেরে এই হত্যাকা-টি সংঘটিত হয়েছে বলে মামলার তদন্তকালে বিষয়টি ও আসামিদের দেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছে।