এবার মুসলিমদের বাড়িতে তুলসী গাছ লাগানোর বাধ্যবাধকতা আরএসএসের
ডেস্ক রিপোর্ট : সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের বাড়িতে বাড়িতে তুলসী গাছ লাগানোর বাধ্যবাধকতা দিল আরএসএসের মুসলিম শাখা। মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ চায়, সংখ্যালঘুরা অবিলম্বে গো-হত্যা বন্ধ করে বাড়িতে তুলসী গাছ লাগাক। কারণ, তুলসী হিন্দুত্বের প্রতীক নয়, বরং জাতীয় ঐক্যের ছবিকে স্পষ্ট করবে। সংবাদ প্রতিদিন
সম্প্রতি মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের জাতীয় স্তরের বৈঠকে তুলসীকে জনপ্রিয় করে তোলার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। ২০০২-এ প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের শাখা মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের মূল কাজই হল আরএসএস ও মুসলিম ভাবধারায় বিশ্বাসীদের মধ্যে সু-সম্পর্কের সেতু গড়ে তোলা। পাক অধিকৃত কাশ্মীর পুনরায় ভারতের বলে দাবি করার পাশাপাশি সংঘ পরিবারের সবচেয়ে বড় ইস্যুই হল যে কোনও মূল্যে গো-হত্যা রুখে দেওয়া।
তবে গো-হত্যা রুখতে আরএসএসের সক্রিয়তার ফলে মুসলিমদের মধ্যে জনপ্রিয়তা হারানোর আশঙ্কাও রয়েছে। খাদ্যভ্যাসের উপরে হস্তক্ষেপকে অনেক মুসলিমই জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হিন্দুত্ববাদী আচরণ বলে মনে করছেন। এবার বাড়িতে তুলসী গাছ লাগানোর নিদান দিয়ে খানিকটা হলেও মুসলিমদের মধ্যে ফের প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেতে চাইছে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ।
‘মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থে তুলসীকে রেহান বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গুণাগুণের জন্য তুলসীকে স্বর্গের গাছ বলা হয়।’, বলছেন মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের মহম্মদ আফজল। তার দাবি, শুধু হিন্দুরাই যে তুলসীর পুজো করেন এই ধারণা ভ্রান্ত। আফজল আরও বলছেন, ‘আমরা চাই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মুসলিম বাড়িতে তুলসীর গাছ লাগিয়ে বাড়ির পরিবেশকে আরও বিশুদ্ধ ও পবিত্র করে তুলুক।’ দুবাইতে প্রায় ১০ রকমের তুলসী গাছ সমৃদ্ধ পার্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গৃহস্থ বাড়িতে তুলসী গাছ দেখতে পাওয়া স্বাভাবিক বিষয়। সর্দিকাশিতে তুলসীপাতার ব্যবহার বহুদিন ধরেই চলে আসছে এ দেশে। হিন্দুদের পুজোআচ্চায় তুলসী পাতার প্রয়োজন হয়। তুলসী গাছ লাগানোর দাবির পাশাপাশি আগামী ৯ আগস্ট শ্রীনগর থেকে একটি পদযাত্রারও সূচনা করবে আরএসএস। দাবি তোলা হবে, পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতকে ফিরিয়ে দেওয়ার। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ