নির্বাচন কমিশনের প্রচলিত কাঠামোগত অবস্থার সংস্কার আবশ্যক
ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ
নির্বাচন কমিশনের মতো স্বাধীন, স্বায়ত্তশাসিত ও সাংবিধানিক পদে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও পেশাজীবী মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে যেমন শিক্ষক, একাডেমিশিয়ান, আইনজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী ও কৃষিবিদ অন্তর্ভুক্ত করে কমিশনের কলেবর বৃদ্ধি করা যেতে পারে। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের প্রতিনিধিত্বে নির্বাচন কমিশন বলিষ্ঠ ও সুগঠিত হতে পারে। এছাড়া হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রণয়নের বিষয়েও নির্বাচন কমিশনকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ প্রসঙ্গে ভারত ও ভুটানের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। ভারতে ২৫ মে’কে জাতীয় ভোটার দিবস করা হয়েছে। তারা এই দিনকে ভোটার দিবস হিসেবে উদযাপন করে সমস্ত যোগ্যতাসম্পন্ন যুবকদের নির্দিষ্ট সমায়ন্তে ভোটার তালিকাভুক্ত করা হয়। এতে গণতন্ত্রের সঠিক চর্চা করা হচ্ছে বলে মনে হয়। অধিকন্তু ভুটানেও ভোটার দিবস পালিত হয়ে থাকে, যা আন্তর্জাতিকভাবে গণতন্ত্রের কাঠামোকে সুদৃঢ় করার এক বাস্তব পদক্ষেপ।
স্বাধীনতাপূর্ব এ দেশের জনসংখ্যা ছিল সাড়ে সাত কোটি। বর্তমানে সেই জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ষোলো কোটির উপরে। এমতাবস্থায় এই ষোলো কোটি জনসংখ্যার দেশে নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়ার বিষয়টিতে মনোযোগ দেওয়া দরকার। পূর্বের মতোই একই জনবলের উপর নির্বাচন কমিশন তার যাবতীয় কাজকর্ম করে যাচ্ছে। আনুপাতিক হিসেবে নির্বাচন কমিশনের এই জনবলের সংখ্যা বৃদ্ধি হওয়া আবশ্যক। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের মতো স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে প্রচলিত কাঠামোতে কাজ করার মাধ্যমে কাজের যথাযথ বিকাশ সাধিত হচ্ছে না বলেই সর্বসাধারণ অভিমত পোষণ করছেÑ যা গণতন্ত্রের অন্তর্নিহিত শক্তির বিকাশে অন্তরায় হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। নির্বাচন ও গণতন্ত্র যত বেশি অংশগ্রহণমূলক হবে তার সাংবিধানিক ভিত তত সুসংহত ও সুদৃঢ় হবে।
লেখক: উপ-মহাপরিচালক, আনসার ও ভিডিপি (পিআরএল), আনসার-ভিডিপি একাডেমি, সফিপুর, গাজীপুর
সম্পাদনা: আশিক রহমান