নরেন্দ্র বাবু বাংলাদেশের জনগণ ও গণতন্ত্রের সঙ্গে নেই : গয়েশ্বর
শাহানুজ্জামান টিটু : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সে দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর মমতা ব্যানার্জি শেখ হাসিনাকে বললেন, দিদি আমরা আপনার পাশে আছি। এটা আমরাও (বিএনপি) জানি আপনারা তার পাশে আছেন। কারণ আপনারা যদি তার পাশে না থাকেন তাহলে তার তো আর কোনো ঠিকানা নেই। বাংলাদেশেও হবে না। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে বাংলাদেশের জনগণ ও গণতন্ত্রের সঙ্গে নরেন্দ্র বাবু নেই।
গতকাল রোববার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর।
গয়েশ্বর বলেন, মোদি শুধু নয় কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর চেয়ে ভারতের কাছে শেখ হাসিনা অনেক বেশি জনপ্রিয়। কারণ শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বারোটা বাজিয়ে ভারতকে সমৃদ্ধ করার সব ইচ্ছা বাস্তবায়ন করছেন।
তিনি বলেন, আসামের বিধান সভায় এক বিধায়ক বলেছেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। ওই বিধায়ক বলেছেন বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। এদেশের হিন্দুদের উপর অত্যাচার করছে কারা এমন প্রশ্ন রেখে বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনাদের (ভারত) মনোনীত সরকার ও শেখ হাসিনার দল। শেখ হাসিনাকে আপনারা আপনাদের দেশে নিয়ে যান। দেখবেন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু-মুসলমানসহ সব ধর্মের মানুষ নিরাপদ। এদেশের হিন্দু, মুসলমান বাংলাদেশের সম্পদ। ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। এই রাষ্ট্রে যদি সবার শান্তি বজায় রাখতে চাই তার প্রধান শর্ত হচ্ছে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া। আজকে গণতন্ত্রকে ধীরে ধীরে ধ্বংস করে তাতে মলম লাগিয়ে ভিডিও কনফারেন্স করে বলবেন দিদি আপনার পাশে আছি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, বাংলাদেশের মানুষের পাশে যদি না থাকেন। এদেশের মানুষ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। এদেশের মানুষ আবার যুদ্ধ করে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অক্ষুণœ রাখবে।
শুনলাম, ভারত থেকে সৈন্য আসতে প্রস্তুত এ মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, এখনো খেলা শুরু হয়নি তার আগেই জার্সি পরে প্রস্তুত হয়ে আছেন। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জঙ্গি হামলার বিষয়ে বলেছেন, আমরা আগেই জানতাম এ হামলা হতে পারে। এ বিষয়টি ভারতও জানতো তাই তারা আগে থেকেই জার্সি পরে প্রস্তুত হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী বিদেশে গিয়ে সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে ফিরে আসে। সেই সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী থাকতে যখন আমরা ভারতের সেনাবাহিনী আসার কথা বলি, তখন আমাকে বুঝতে হবে দেশের সেই যোগ্য সেনাবাহিনী ও পুলিশবাহিনীর যোগ্যতা নিয়ে কটাক্ষ করা মসকরার সামিল। এদেশের সেনাবাহিনী, বর্ডারগার্ড, পুলিশবাহিনীর একটি লোক জীবিত থাকা পর্যন্ত বাংলাদেশের মাটিতে কোনো দেশের সেনাবাহিনী আসতে দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন গয়েশ্বর। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম