ধর্ষণ প্রতিরোধে আইনের যথাযথ প্রয়োগ জরুরি
নূর খান লিটন
বগুড়ায় কিশোরীকে ধর্ষণ ও মা-মেয়ের মাথা ন্যাড়া করার যে ঘটনাটি ঘটেছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং বর্বরতম ঘটনা। এ ধরনের ঘটনা একের পর এক ঘটছে। এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া যায়। সমাজে আইনের শাসনের যে ঘাটতি আছে, রাজনীতি যে দুর্বৃত্তায়িত হয়েছে, তার একটা উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে বগুড়ার ঘটনা। রাজনৈতিক কর্মীরা তখনই এ ধরনের ঘটনা ঘটায়, যখন মনে করে তাদের টুটি চেপে ধরতে পারবে না কেউ। রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা যখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ব্যবহার করে তখন এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। গণমাধ্যমের মাধ্যমে ইতোমধ্যে আমরা যেটুকু জানতে পেরেছি, যে ঘটনা ঘটিয়েছে সে শ্রমিক লীগের বগুড়া শহরের আহ্বায়ক এবং তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী যদি তৎপর থাকত, তার ইতোপূর্বের অপরাধের যদি বিচার সম্পন্ন করা যেত তাহলে হয়তো আজকে এমন ঘটনা আমাদের দেখতে হতো না। যদিও ইতোমধ্যে তাকে (তুফান সরকার) তার দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পুলিশের অ্যাকশনও আমরা লক্ষ্য করছি। খুব স্পষ্ট যে, রাজনৈতিক দলগুলোতে ক্রমান্বয়ে দুর্বৃত্তদের সংখ্যা বাড়ছে।
এ ধরনের অপরাধ কমিয়ে আনতে হলে আইনের যথাযথ প্রয়োগ জরুরি। কোনো অবস্থাতেই আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী বা স্থানীয় প্রশাসন যেন মনে না করে যে, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের স্পর্শ করলে রাজনৈতিক দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হতে পারে। তারা যেন বাধাহীনভাবে, স্বাধীনভাবে আইনের প্রয়োগটি করতে পারেন।
পরিচিতি: মানবাধিকার কর্মী
মতামত গ্রহণ: তানভীন ফাহাদ
সম্পাদনা: মোহাম্মদ আবদুল অদুদ