খুবির ইসিই বিভাগের অনিয়মের প্রতিবাদ জানিয়ে বিপাকে চেয়ারম্যান
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : একাডেমিক ও প্রশাসনিক নানা অনিয়মের প্রতিবাদ জানিয়ে বিপাকে পড়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) বিভাগের প্রধান (চেয়ারম্যান) অধ্যাপক ড. সেহরীশ খান।
সাংবাদিকদের কাছে তিনি অভিযোগ করেন, প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার দিন থেকে বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান তার সঙ্গে চরম অসহযোগিতা করেছেন। একজন নারী শিক্ষক হিসেবে তার সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করছেন এবং বিভিন্ন সময়ে প্রধানের পদ থেকে নেমে যেতে হুমকি দিয়েছেন। বিভাগীয় চেয়ারম্যানের পদ থেকে তাকে সরিয়ে দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষক উঠে-পড়ে লেগেছে। পরবর্তীতে চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিভাগে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে ক্লাশ বর্জন করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, গত বছরের ৬ আগস্ট তিনি নিয়ম অনুযায়ী ইসিই বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব নেওয়ার সময় পূর্ববর্তী বিভাগীয় প্রধান ড. মনিরুজ্জামান তার কাছে বিভাগের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হিসাব, ল্যাবের যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি এবং বিভাগের যাবতীয় নথিপত্র বুঝে দেননি। বিগত দিনে বিভাগের শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক তারিক হাসান স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন কোর্সটির পরীক্ষা না নিয়ে মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ করে দিয়েছেন। বিষয়টি তিনি লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের কোনো তদন্ত না করে ড. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে আট জন শিক্ষক তাকে একটি চিঠি দিয়ে তিন দিনের মধ্যে ক্ষমা চাইতে বলেন।
এ বিষয়টির প্রতিবাদ করলে ড. মনিরুজ্জামান তাকে চরমভাবে লাঞ্ছিত করেন। একপর্যায়ে মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে কতিপয় শিক্ষক তাকে হুমকি দেন। এ ঘটনায় তিনি ৯ জানুয়ারি খুলনার হরিণচানা থানায় একটি জিডি করেন। তিনি ড. মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভাগ পরিচালনায় অনিয়ম তদন্তের দাবি করেন। এ অবস্থায় একজন নারীকে এভাবে হেয় প্রতিপন্নকারী চক্রের হাত থেকে রক্ষার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম