‘৭০ অনুচ্ছেদ দলের মধ্যে শৃঙ্খলা ধরে রাখার একটা ব্যবস্থা মাত্র’
এস এম নূর মোহাম্মদ : সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংসদের স্থায়িত্ব ও দলের সদস্যদের মধ্যে শৃংখলা ধরে রাখার জন্য একটা ব্যবস্থা মাত্র। এটা দেশের জাতীয় রাজনীতিকে রাজনৈতিক বেচাকেনা থেকে দূরে রাখার জন্য। একজন সংসদ সদস্য যদি দরকষাকষির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন বা সন্দেহ হয় যে, তিনি দরকষাকষির সঙ্গে যুক্ত তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান সংবিধানে নেই। এ অবস্থায় তারা (সংসদ সদস্য) উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা কিভাবে নিতে চান?
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ে এমন মন্তব্য করেন আপিল বিভাগ। গতকাল মঙ্গলবার ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। রায়ে বলা হয়, ৭০ অনুচ্ছেদ থাকার কারণে দলীয় নির্দেশনার বাইরে একজন সংসদ সদস্য স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। সেখানে বিচারক অপসারণের বিষয়ে তারা কিভাবে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে মত দেবেন। সেটাই প্রশ্নবিদ্ধ।
রায়ে আদালত বলেন, বর্তমান ব্যবস্থায় জাতীয় সংসদ ও প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ সংসদ সদস্যদের একটি দলের হাতে। এ ব্যবস্থায় দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার স্বাধীনতা নেই কোনো সংসদ সদস্যের। এমনকি তার দল যদি কোনো ভুল সিদ্ধান্ত বা নিদের্শনা দেয় তাহলেও তার বিরুদ্ধে ভোট বা মতামত দেওয়ার সুযোগ নেই। তারা দলের নীতি নির্ধারক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হন। ৭০ অনুচ্ছেদ বলবৎ থাকাবস্থায় বিচারক অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে গেলে একজন বিচারককে দলীয় নীতিনির্ধারকের করুনা অনুযায়ী চলতে হবে। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন