ভুয়া নামে মাস্টারকার্ড তৈরি করে অর্থপাচার করত একটি চক্র
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : ভুয়া নাম ঠিকানা ব্যবহার করে অনলাইনে পাইওনিয়ার কার্ড ইস্যু করে সেসব কার্ড বিভিন্নজনের কাছে বিক্রি করা হতো। এছাড়া পাচারকারীদের চাহিদা অনুযায়ী সেসব কার্ড এবং বিভিন্ন অনলাইন অ্যাকাউন্টে ইলেক্ট্রিক ট্রানজেকশনের মাধ্যমে অর্থপাচারে সহায়তা করতো চক্রটি। গত মঙ্গলবার রাতে সিআইডির হাতে ওই চক্রের ৫ সদস্য ধরা পড়ার পর এমন তথ্য জানা গেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ঢাকা কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম ওরফে ইরমান (২২), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের আসকার ইবনে ইসহাক শাকিল (২৪), সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে ২০১৫ সালে মার্কেটিং বিভাগ থেকে পাস করা সৈয়দ মেহেদী হাসান (২৯), কেরানীগঞ্জের ফ্লেক্সিলোডের দোকানদার হায়দার হোসেন (৩০) ও ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির আইনের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী জহিরুল হক (২৫)। এসময় তাদের কাছ থেকে ১৪১টি মাস্টারকার্ড, নগদ ৯ লাখ ২১ হাজার ৫০০ টাকা, একটি সিপিইউ, একটি লেমিনেটিং মেশিন, প্রিন্টার কাম স্ক্যানার, ইসলামী ব্যাংকের দুটি সিল, দুটি ল্যাপটপ, ৩২টি ব্লাংক চেক ও ৩টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
গতকাল বুধবার সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃতরা ডলার কেনা-বেচা চক্রের সদস্য। তারা অনলাইনে অ্যাকাউন্ট খুলে এবং ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অবৈধভাবে ডলার ক্রয় করতো। তারপর মুদ্রা পাচারকারীদের চাহিদা অনুযায়ী তাদের অ্যাকাউন্ট নম্বরে টাকা ট্রান্সফার করে বিদেশে পাচার করার সুযোগ করে দিত। এ ধরনের কোনো গ্রাহকের অনলাইন অ্যাকাউন্ট এবং ক্রেডিট কার্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকের হিসাব নম্বরের লিঙ্ক না থাকায় কি পরিমাণ অর্থপাচার হয়েছে সেই হিসাব জানা যায়নি। এদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ