মুহাম্মদ আতাউর রহমান মারুফ
প্রত্যেকটি ভাষাই মহান আল্লাহর দান। আর বাংলা ভাষা বঙ্গজাতির জন্য আল্লাহ তা’আলার এক বিশেষ দান। কারণ এ দেশের মাটি ও এ দেশের ভাষা শত শত বিন্দু রক্তের অর্জন । তাই এ দেশের ভাষা হওয়ার দরকার ছিল প্রকৃত অর্থে আমাদের মুখের ও কলমের ভাষা । যার মাধ্যমে লিখা হবে মহান আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের ভালবাসার কথা । এ ভাষা হওয়ার দরকার ছিলো সত্য ও ন্যায়ের বাহন । ভাষা আন্দোলনে যখন আল্লাহ্ আমাদের বিজয় দান করেন তখন তো আমাদের স্বপ্ন ছিল আমাদের এই ভাষা হবে পৃথিবী’র অন্যতম সমৃদ্ধ ভাষা । পরম সমাদরে যাবে আমরা ন্যায় ও সত্যের পথে ব্যবহার করব । আমরা যখন সত্যের জন্য লড়ব ভাষা তখন কলম থেকে মুক্তা ছড়াবে। আমরা যখন বাতিলেন মুকাবেলায় কাজ করব ভাষা তখন আমাদের কলম থেকে আগুনের উল্কা ঝরাবে । কিন্তু দুর্ভাগ্য, গাফলতের ঘোরে এ ভাষার পরম সমাদরে আতœবিস্মৃত হয়ে যাই আমরা । ফলে ইসলামের শক্ররা তুলে নেয় তাকে তাদের নাপাক হাতে এবং বানিয়ে নেয় নগ্নতা ও অশ্লীলতার বাহন । আর অপব্যবহার করে ভ্রান্তি ও গোমরাহির মাধ্যমরূপে । আলহামদুলিল্লাহ্ অবশেষে আমাদের আলেমগণের সচেতনতা বাড়তে শুরু করেছে । এবং তাঁরা নিজেদের কর্তব্য উপলব্ধি করতে পেরেছেন। তাই তাঁরা বলিষ্ঠ পদক্ষেপে নির্ভীকভাবে এগিয়ে আসছেন বাংলা সাহিত্যের আদর্শ চর্চায় ।
এভাবে অধুনা বাংলা ভাষার যখন দুর্গতি আর করুণ অবস্থা তখন আলেমগণের সজাগ দৃষ্টির কারণে তা নতুন গতি পেয়েছে । তবে একথা সত্য যে বাংলা সাহিত্যের অঙ্গনে ইসলামের ঝান্ডা বহনে আলেম সমাজের বর্তমান ভূমিকা যুগ চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল !
তাদেরকে এপথে আরও ব্যপকভাবে এগিয়ে আসতে হবে। যাতে বাতিল শক্তি পুরোপুরি কাবু হয়ে যায় এবং সর্বত্র হকের জয়জয়কার হতে থাকে । জেগে উঠো হে আলেম ও মুসলিম সমাজ, ভাষার বর্ণমালাকে গ্রহণ করা,শব্দমালাকে বরণ কর। অন্যায় ও বাতিলের কবল থেকে ভাষাকে উদ্বার কর । এভাবে বাংলা ভাষায় ইসলামচর্চায় এগিয়ে আসো এবং ইসলামের কালেমাকে বাংলাদেশের জমিনে বুলন্দ করো। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আমিন।