জয়পুরহাটে ১৫ হাজার মে. টন মসলা জাতীয় ফসলের উৎপাদন
বাসস : জেলায় ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে মসলা জাতীয় ফসলের উৎপাদন হয়েছে ১৪ হাজার ৮৮৬ মেট্রিক টন, যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বাসস’কে জানায়, জয়পুরহাটের মাটি মসলা জাতীয় ফসল চাষের জন্য বেশ উপযোগী। সে কারণে মসলা জাতীয় ফসলের চাষ এখানে ভাল হয়ে থাকে।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ মসলা জাতীয় চাষে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করে এ জেলায়। ফলে জেলায় ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত মসলা জাতীয় ফসলের উৎপাদন হয়েছে। চাষ হওয়া মসলা ফসলের নাম, জমির পরিমাণ ও উৎপাদনের মধ্যে রয়েছে কাঁচা মরিচ ৩১০ হেক্টর, উৎপাদন হয়েছে ২ হাজার ২৩২ মে. টন, শকনা মরিচ ৩১০ হেক্টর, উৎপাদন ৫৫৮ মে. টন, পেঁয়াজ ৯শ’ হেক্টর, উৎপাদন ৮ হাজার ৭৯৩ মে. টন, রসুন ২৪০ হেক্টর, উৎপাদন এক হাজার ৬৫৬ মে. টন, আদা ৪১ হেক্টর, উৎপাদন হয়েছে ৪৯২ মে.টন, হলুদ চাষ হয়েছে ৩২৫ হেক্টর, উৎপাদন হয়েছে এক হাজার ১২০ মে.টন এবং ধনিয়ার চাষ হয় ৩৫ হেক্টর এতে উৎপাদন হয়েছে ৩৫ মে.টন। এ ছাড়াও জেলায় কন্দাল জাতিয় ফসলের চাষ হয়েছে ৩ শ ৮৯ হেক্টর জমিতে এবং উৎপাদনের পরিমাণ হচ্ছে ৬ হাজার ৬৯৮ মেট্রিক টন। যার মধ্যে রয়েছে মুখী কচু ৬ হাজার ২১০ মেট্রিক টন, ওল ২৮৮ মেট্রিক টন ও গাছ আলু ২শ’ মেট্রিক টন। মসলা জাতিয় ফসলের দাম ভাল পাওয়ায় কৃষকরা অধিক লাভবান হয়ে থাকেন। ফলে জেলায় মসলা জাতীয় ফসলের চাষ দিনদিন বাড়ছে।
কৃষি বিভাগ জানায়, বন্যায় কাঁচা মরিচ, হলুদ ও মুখী কচুর কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি পুশিয়ে নিতে মসলা ও কন্দাল জাতিয় ফসল চাষের জন্য মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণসহ পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুধেন্দ্রনাথ রায়।