রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রবিরোধী মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস
রফিক আহমেদ ও মবিনুর রহমান : বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা বাতিলের দাবিতে তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচির মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার পর তা প- হয়ে যায়। এতে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তিও হয়েছে।
এ ঘটনায় অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের অনেককেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মিছিলে পুলিশি হামলাকে ন্যাক্কারজনক আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন, সিপিবি, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথক বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি শিশুপার্কের সামনে প্রথম পুলিশি ব্যারিকেডের মুখে পড়ে। ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ পেরিয়ে রূপসী বাংলা হোটেলের সামনে পৌঁছলে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড কাঁদুনে গ্যাস ছোড়ে এবং লাঠি নিয়ে তেড়ে গেলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ছত্রভঙ্গ নেতাকর্মীরা পরীবাগের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। তবে পুলিশি বাধায় মিছিলকারীরা ওই পর্যন্তই থেমে যায়।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চুক্তি বাতিল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন বামপন্থী সংগঠন ও জাতীয় কমিটির নেতাকর্মীরা মিছিলে উপস্থিত ছিলেন।
তেল-গ্যাস রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ বলেন, সরকার জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে এ চুক্তি করছে। দেশের সম্পদ বিদেশিদের হাতে তুলে দিচ্ছে। তাই দলমত নির্বিশেষে আমাদের সবাইকে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকী ও গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও শ্রমিক নেত্রী মোশরেফা মিশু প্রমুখ। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি